মাহমুদুল্লাহ - সিরাজগঞ্জ
৬৭৩৫. প্রশ্ন
আইয়ামে তাশরীকের এক দিন আসরের নামাযে আমার এক রাকাত ছুটে যায়। ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের পর আমি তাকবীরে তাশরীক পড়ার কথা ভুলে যাই। মসজিদ থেকে বের হওয়ার একটু পরে মনে পড়ে। আমি তখনই তাকবীর পড়ি। কিন্তু আমার চাচাতো ভাই বলল, এখন আর তাকবীর পড়ে কী হবে? তাকবীরে তাশরীক তো মসজিদ থেকে বের হওয়ার আগেই পড়া নিয়ম। মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে তাকবীরে তাশরীক আদায়ের আর সুযোগ থাকে না।
জানতে চাই, তার উক্ত কথা কি ঠিক? মসজিদ থেকে বের হলে কি আর তাকবীরে তাশরীক আদায় করার সুযোগ থাকে না?
এটাও জানতে চাই যে, নামাযের পর কতক্ষণ পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক আদায়ের সুযোগ বাকি থাকে?
উত্তর
মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে তাকবীরে তাশরীক আদায় করার সুযোগ থাকে না। তাই মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর তাকবীর বলার দ্বারা আপনার তাকবীরে তাশরীক আদায় হয়নি। সামনে সতর্ক থাকতে হবে। যেন এ ভুল আর না হয়।
তাকবীরে তাশরীক আদায়ের সময়, ফরয নামাযের সালাম ফেরানোর পরপরই। অবশ্য ফরয নামাযের সালাম ফেরানোর পর তাকবীর বলতে ভুলে গেলে, সেক্ষেত্রে নামায ভেঙে যায় এমন কোনো কাজ করা, মসজিদ থেকে বের হওয়া কিংবা অন্য নামায শুরু করার আগ পর্যন্ত তাকবীরে তাশরীক আদায় করার সুযোগ থাকে। তাই এমন ক্ষেত্রে মনে হওয়ার পর সাথে সাথে তাকবীর বলে নেবে। কিন্তু নামাযের পর উল্লিখিত কোনো কাজ করে ফেললে তাকবীরে তাশরীক আদায়ের সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রে ওয়াজিব ছুটে যাওয়ার কারণে ইস্তেগফার করে নেবে।
তবে উল্লেখ্য যে, মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর তাকবীর বলার দ্বারা নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক বলার ওয়াজিব আদায় না হলেও তাকবীরে তাশরীক বলা আইয়ামে তাশরীকের ব্যাপক একটি আমল। সে হিসেবে তা যে কোনো সময়ই পড়া যাবে এবং এর দ্বারা সওয়াব লাভ হবে।
* >حاشية الشلبي على تبيين الحقائق< ১/৫৪৫ : وقال في شرح الطحاوي: اعلم أن التكبير يؤدى بناء على الصلاة، لا في حرمة الصلاة، فمن حيث يؤدى بناء على الصلاة، فكل ما يقطع البناء يقطع التكبير، وكل ما لا يقطع البناء لا يسقط التكبير، فإذا تكلم بعد السلام أو ضحك فقهقه أو أحدث عمدا، أو شرع في صلاة أخرى أو أعرض عن القبلة وهو ذاكر للتكبير، أو خرج عن المسجد وهو ساه عنه، أو أكل أو شرب أو اشتغل بعمل كثير، فهذه الأشياء تقطع البناء وتسقط التكبير.
–কিতাবুল আছল ১/৩২৭; আলমুহীতুর রাযাবী ১/৪১৯; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ১৮; রদ্দুল মুহতার ২/১৭৯