যিলকদ ১৪৪৬ || মে ২০২৫

উসামা হাবিব - যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

৬৭২৩. প্রশ্ন

আমার বন্ধুর বাবা দশ রমযানের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ফলে বকি বিশটি রোযা আর রাখতে পারেননি ঈদের এক সপ্তাহ পর আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন কিন্তু তার আট দিন পরেই ইন্তেকাল করেন তবে সুস্থ হওয়ার পরও তিনি রোযাগুলোর কাযা আদায় করেননি

এখন বন্ধু জানতে চাচ্ছে, তার বাবার এই রোযাগুলোর ফিদইয়া আদায় করা কি জরুরি? জরুরি হলে তা কীভাবে আদায় করবে?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ পুরো বিশ দিনের রোযার ফিদইয়া আদায় করা জরুরি নয়; বরং শুধু আটদিনের ফিদইয়া আদায় করাই যথেষ্ট কেননা ঐ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর যেহেতু শুধু আটদিন জীবিত ছিল, তাই তার যিম্মায় শুধু আট দিনের রোযার কাযা বাকি আছে

অতএব এক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি যদি ইন্তেকালের আগে রোযাগুলোর ফিদইয়া আদায় করার অসিয়ত করে গিয়ে থাকে, তাহলে তার ওয়ারিশদের ওপর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক তৃতীয়াংশ থেকে আটটি রোযার ফিদইয়া আদায় করা জরুরি আর যদি অসিয়ত না করে গিয়ে থাকে, তাহলে যদিও সে ক্ষেত্রে ফিদইয়া দেওয়া ওয়ারিশদের ওপর আবশ্যক নয় তথাপি মৃত ব্যক্তির আখেরাতের প্রতি লক্ষ করে ঐ রোযাগুলোর ফিদইয়া দিয়ে দেওয়াই তাদের জন্য উত্তম হবে

আর ফিদইয়া হল, প্রতি রোযার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে দুইবেলা খাওয়ানো কিংবা এর মূল্য প্রদান করা

* كتاب >الأصل< للشيباني /১৬৫ : قلت: أرأيت المريض يمرض قبل دخول شهر رمضان، فلا يزال مريضا حتى ينسلخ شهر رمضان، ثم يموت؟

قال: ليس عليه من قضاء شهر رمضان شيء. ...

قلت: أرأيت إن صح بعد شهر رمضان عشرة أيام، ثم مات، ما عليه؟ أترى عليه قضاء شهر رمضان؟ قال: لا، وإنما عليه قضاء العشرة الأيام التي صح فيها.

আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৯০; আলগায়াহ ৭/৪৩৭; আলহাবিল কুদসী ১/৩০৯; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২২২; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৩০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৮৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন