রমযান ১৪৪৫ || মার্চ ২০২৪

নাসির - কুমিল্লা

৬৪০৫. প্রশ্ন

আমি ঢাকার কারওয়ান বাজারে ফলের ব্যবসা করতাম। আমার ব্যবসায় আগ থেকেই ৫০ লাখ টাকা ঋণ ছিল। এর মধ্যে করোনার সময় ব্যবসায় লস খেয়ে আরো ২০ লাখ টাকা ঋণী হয়ে পড়ি। যা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। কিন্তু এবার রোযার ঈদে বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে বলেন, আমাদের বর্তমান ঈদগাহটিতে মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। আপনার জমিটা তো পাশেই আছে, যদি ঈদগাহের জন্য ওয়াকফ করে দিতেন, তাহলে ভালো হত। আমি চেয়ারম্যান সাহেবের কথায় রাজি হয়ে যাই এবং আমার জমিটি লিখিতভাবে ঈদগাহের জন্য ওয়াকফ করে দেই। কিন্তু সমস্যা হল, ইতিপূর্বে আমি যাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলাম তাদের পাওনা পরিশোধ করতে বিলম্ব হওয়ায় ইদানীং আমার ওপর তারা চাপ প্রয়োগ করছে, যেন আমি ওয়াকফ বাতিল করে দেই এবং জমিটি তাদের কাছে বন্ধক রাখি।

জানার বিষয় হল, এখন আমার জন্য ওয়াকফ বাতিল করে জমিটি পাওনাদারদের কাছে বন্ধক রাখা জায়েয হবে কি?

উল্লেখ্য, আমি এখন কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছি। এ ব্যবসায় লাভ করতে পারলে পাওনাদারদের পাওনা আস্তে আস্তে পরিশোধ করে দিব।

উত্তর

ঈদগাহের জন্য উক্ত জমিটি ওয়াকফ করার দ্বারা এর ওয়াকফ সম্পন্ন হয়ে গেছে। এখন আর এই ওয়াকফ বাতিল করার সুযোগ নেই। তাই এই জমিটি আবার নিজ দখলে নিয়ে পাওনাদারদের নিকট তা বন্ধক রাখা কিছুতেই জায়েয হবে না।

তবে উল্লেখ্য, আপনি যেহেতু আগ থেকেই অনেক টাকা ঋণী, তাই এ অবস্থায় আপনার কর্তব্য ছিল, পাওনাদারদের পাওনা পরিশোধকে প্রাধান্য দেওয়া। ঈদগাহের জন্য ওয়াকফ করা নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ। কিন্তু তা আপনার জন্য জরুরি ছিল না। অথচ অন্যের পাওনা পরিশোধ করা ফরয।

-ফাতহুল কাদীর ৫/৪২৪; আলইসআফ ফী আহকামিল আওকাফ, পৃ. ৫৬; আলবাহরুর রায়েক ৫/২০৫; আদ্দুররুল মুখতার ৪/৩৫১; উমদাতুল কারী ১২/২২৭

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন