নাঈম - ঢাকা
৬২২৯. প্রশ্ন
আমার আব্বা গত বছর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আব্বার ওপর হজ্ব ফরয ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে জীবিত অবস্থায় তিনি হজ্বে যেতে পারেননি। তাই মৃত্যুর আগে তিনি বলে গেছেন, আমার মৃত্যুর পর অবশ্যই আমার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে প্রথমে বদলী হজ্বের ব্যবস্থা করবে। এরপর কিছু বাকি থাকলে তোমরা ভাগ করে নেবে। আব্বার মৃত্যুর পর আমরা হিসাব করে দেখেছি যে, তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির পরিমাণ বিশ লক্ষ টাকা। এখন বাংলাদেশ থেকে কাউকে হজ্বে পাঠালে খরচ হবে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ টাকা। কিন্তু আবার কোনো কোনো ওয়ারিশ বলছেন, এত টাকা খরচ করে কাউকে হজ্বে না পাঠিয়ে (সৌদি আরব অবস্থানরত) তোমার বন্ধু রফীককে বল, তোমার আব্বার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে।
মুহতারামের কাছে জানার বিষয় হল, আমি একজনের কাছে শুনেছি, বদলী হজ্ব বদলী হজ্বের ওসিয়তকারীর নিজ দেশ থেকে করতে হয়। এই কথাটি কি সঠিক? এবং আমার বন্ধু রফীক যদি সৌদি থেকে আমার আব্বার বাদলী হজ্ব করে, তাহলে কি বদলী হজ্ব আদায় হবে? আশা করি সঠিক উত্তর জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
কেউ যদি বদলী হজ্বের ওসিয়ত করে যায় আর তার মীরাস সম্পত্তির একতৃতীয়াংশ দ্বারা তার নিজ দেশ থেকে বদলী হজ্ব করা সম্ভব হয়, তাহলে ওয়ারিশদের ওপর জরুরি হল, ওসিয়তকারীর নিজ দেশ থেকেই কাউকে হজ্বে প্রেরণ করা। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পিতার বদলী হজ্বের জন্য বাংলাদেশ থেকেই কাউকে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে সৌদি থেকে কাউকে দিয়ে বদলী হজ্ব করালে তা দ্বারা আপনার পিতার বদলী হজ্ব আদায় হবে না।
বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৭০; আলমুহীতুর রাযাবী ২/২৫৫; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৬৫৬; আলমাসালিক ফিল মানাসিক ২/৯০৫; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৪