রবিউল আউয়াল ১৪৪৪ || অক্টোবর ২০২২

আবদুল্লাহ - ফেনী

৫৮৬৩. প্রশ্ন

আমার মামা প্রতি বছর দুটি কুরবানী করেন। একটি নিজের পক্ষ থেকে, আপরটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা মৃত আত্মীয়-স্বজনের পক্ষ থেকে। তবে তিনি যেটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা মৃত আত্মীয়ের পক্ষ থেকে কুরবানী করেন সেটির পুরো গোশত গরীবদের দান করে দেন। তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তির নামে দেওয়া কুরবানীর গোশত নিজেরা খাওয়া যায় না; গরীবদের দান করে দিতে হয়। জানার বিষয় হল, আমার মামার কথা কি ঠিক?

উত্তর

আপনার মামার কথা ঠিক নয়। মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে নফল কুরবানী করলে কিংবা তার জন্য সওয়াব পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে কুরবানী করলে এর গোশত নিজেরাও খাওয়া যায়, অন্যদেরকেও দান করা যায়। অর্থাৎ নিজেদের কুরবানীর মতই এই কুরবানীর গোশতের হুকুম। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার মামা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে বা মৃত আত্মীয়-স্বজনের নামে কোনো পশু কুরবানী করলে ঐ পশুর গোশত তিনি ও তার পরিবার খেতে পারবে। চাইলে অন্যদেরকেও দিতে পারবে।

প্রকাশ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি কুরবানীর জন্য ওসিয়ত করার পর মৃত্যুবরণ করলে এবং তার সম্পদ থেকে ওসিয়ত পূরণের জন্য কুরবানী করলে সেই কুরবানীর গোশত নিজেরা খেতে পারবে না। এই গোশত পুরোটাই সদকা করে দিতে হবে।

-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৩৫২; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩২২; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৯০; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৩/২৯৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৩৫

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন