শাওয়াল ১৪৪২ || মে ২০২১

সাইফুল ইসলাম - রমনা, ঢাকা

৫৩৬২. প্রশ্ন

কয়েকদিন আগে আমি মসজিদে আসরের নামায পড়তে যাই। নীচতলায় জায়গা না পেয়ে ২য় তলায় গিয়ে জামাতে শরীক হই। নামাযের ২য় রাকাতের ২য় সেজদা থেকে ওঠার সময় ইমাম সাহেব একটু লম্বা করে তাকবীর বলেন। ফলে আমরা যারা ২য় তলায় ছিলাম তারা সকলেই ইমাম সাহেব দাঁড়িয়ে গিয়েছেন ভেবে ৩য় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাই এবং পরবর্তী তাকবীর শুনে রুকুতে চলে যাই। অতঃপর ইমাম সাহেব যখন রুকুর জন্য তাকবীর বলেন তখন আমরা বুঝতে পারি যে, ইমাম সাহেব ২য় রাকাতের সেজদা থেকে ওঠার সময় তাকবীর লম্বা করে বললেও ৩য় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে যাননি বরং বৈঠক যথাযথভাবেই আদায় করেছেন এবং এখন ইমাম সাহেব রুকুতে আছেন। তাই আমরা রুকু থেকে না উঠে

ইমামের সাথে রুকুতেই থাকি এবং বাকি নামায ইমামের সাথে শেষ করি। নামায শেষ হওয়ার পর আমরা অনেকে সতর্কতামূলক উক্ত নামায পুনরায় আদায় করে নিই। জানার বিষয় হল, আমাদের উক্ত নামায কি সহীহ হয়েছিল? এ ধরনের পরিস্থিতিতে করণীয় কী?

উত্তর

মুক্তাদী যদি নামাযের কোনো একটি পূর্ণ রুকন (যেমন কিয়াম, রুকু, সিজদা) ইমামের আগে আদায় করে ফেলে এবং এরপর ইমামের সাথে পুনরায় তা আদায় না করে তাহলে তার নামায ফাসেদ হয়ে যায়। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ২য় তলার মুক্তাদীদের পূর্ণ একটি রুকন তথা কিয়াম যেহেতু ইমামের কিয়ামের আগেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, তাই তাদের উক্ত নামায ফাসেদ হয়ে গেছে। যারা পুনরায় নামায আদায় করে নিয়েছেন তারা ঠিকই করেছেন।

প্রকাশ থাকে যে, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে দোতলার মুক্তাদীগণ যদি ভুল বোঝার পর দাঁড়িয়ে গিয়ে কিয়াম এর জন্য এক তাসবীহ পরিমাণ দাঁড়িয়ে পুনরায় রুকু করতেন তাহলে তাদের নামায সহীহ হয়ে যেত। এক্ষেত্রে পুনরায় নামায আদায় করার প্রয়োজন হত না। কারণ, কোনো রুকন ইমাম সাহেবের সাথে আদায় করতে না পারলেও মুক্তাদী যদি ইমামের সাথে বা পরেও তা আদায় করে নেয় তাহলে সেটি সহীহ হয়ে যায়।

-আলমুহীতুল বুরহানী ২/১১৯; আলহাবিল কুদসী ১/২১১; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ৩৬৭; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ. ১৮৫; রদ্দুল মুহতার ১/৪৭০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন