রবিউল আউয়াল ১৪২৯ || মার্চ ২০০৮

রুহান - বনানীবাজার, ঢাকা

১২১৭. প্রশ্ন

১. বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্লেনে হজ্বে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রে মীকাত কোথায় ধরা হবে?

২. ইহরামের যে তরতীব আছে, তা প্লেনের মধ্যে মীকাত আসার আগে বাঁধা সহজ নয়, তাই অনেকে প্লেনে চড়ার আগেই ইহরাম বাঁধে। কিন্তু ভুলে যদি ইহরামের কাপড় লাগেজে চলে যায় এবং প্লেনে কেবল সেলাই করা কাপড়ই থাকে, তবে ইহরামের সূরত কী?

৩. হজ্বের ইহরাম বাঁধার পর হজ্ব করতে কোনো শরীয়তসম্মত প্রতিবন্ধকতা এলে কুরবানী ও মাথা মুন্ডিয়ে হালাল হতে হয় এবং পরের কোনো বছর কাযা করতে হয়। এখন প্রশ্ন হল, বাংলাদেশ বিমান বন্দর থেকে ইহরাম বেঁধে প্লেনে উঠতে গিয়ে যদি জানা যায় যে, কোনো অনিবার্য কারণে এ বছর উক্ত ব্যক্তি হজ্বে যেতে পারবে না, তবে কুরবানী করবে কি করে, যদি সহায়ক কেউ না থাকে? সে বাড়িতে ফেরত এসে কুরবানী করতে ও মাথা মুন্ডাতে পারবে কি? এক্ষেত্রে হরমের সীমায় কুরবানীর পশু পৌঁছানোর হুকুম কি হবে?

উত্তর

১. বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান থেকে আকাশ পথে গমনকারীদের প্লেন করনুল মানাযিল এবং যাতু ইরক-এ দুটি মীকাতের উপর দিয়ে জিদ্দায় প্রবেশ করে। তাই এ বরাবর আসার আগেই ইহরাম বেঁধে নিতে হবে। -আহকামে হজ্ব ৪১-৪২

২. এক্ষেত্রে সেলাইকরা কাপড় পরিহিত অবস্থাতেই মীকাত অতিক্রমের আগে ইহরাম বেঁধে নেবে। এরপর ইহরামের কাপড় হাতে পাওয়া মাত্র সেলাইযুক্ত কাপড় ছেড়ে ইহরামের কাপড় পরে নেবে। পূর্ণ এক দিন বা পূর্ণ এক রাত সেলাইকৃত কাপড় পরিধান করলে দম ওয়াজিব হয়। এর কম হলে এক ফিতরা সমপরিমাণ সাদকা করা ওয়াজিব। সুতরাং পরবর্তী সময়ে সেলাইকৃত কাপড় পরিধানের সময় অনুপাতে কাফ্ফারা [দম বা সদকা] আদায় করবে।

৩. এ ধরনের ব্যক্তির হালাল হওয়ার জন্য হেরেমের ভেতরেই পশু জবাই করা জরুরি। হেরেমের বাইরে পশু জবাই করা যথেষ্ট নয়। তাই তাকে যেকোন উপায়ে হোক কারো মাধ্যমে হেরেমেই পশু জবাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে পশু যবাইয়ের কোন দিন তারিখ নেই। যতদিন সেখানে দম দেওয়া না হবে ততদিন ইহরাম খুলতে পারবে না। অবশ্য সেখানে পশু জবাই করার সাথে সাথে সে হালাল হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে হালাল হওয়ার জন্য মাথা মুন্ডানো বা চুল কাটা জরুরি নয়। অবশ্য কেটে নিলে ভাল। -সূরা বাকারা ১৯৬, আহকামুল কুরআন জাস্সাস ১/২৭৬, মানাসিক ৪২৪, বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৯৯, ফাতহুল কাদীর ৩/৫৪-৫৫, ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩০৫

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন