জুমাদাল আখিরাহ ১৪২৯ || জুন ২০০৮

মসজিদ কমিটি - ভড়ুয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ<br> শাহরাস্তি, চাঁদপুর

১৩০৪. প্রশ্ন

শ্রদ্ধেয় মুফতী সাহেব, আমাদের মহল্লার জামে মসজিদটিকে মহল্লার জনগণ বিভিন্ন সমস্যার কারণে    স্থানান্তর করতে ইচ্ছুক।  সমস্যাগুলো হল :

মসজিদটি প্রধান সড়ক থেকে প্রায় ২০০ গজ ভিতরে হওয়ায় মুসল্লীদের  যাতায়াতে সমস্যা হয়। বিশেষ করে পথিক মুসল্লীদের বেশি কষ্ট হয়।

মসজিদটি বাড়ির ভিতরে হওয়ায় চলাচলে  পর্দার ব্যাঘাত ঘটে।

মসজিদের জায়গা কম হওয়ায় মুসল্লিদের সংকুলান হয় না ।

মসজিদের আশপাশ থেকে টি.ভি, ভিসিডির গানের আওয়াজে নামাযে বিঘ্ন ঘটে।

মসজিদ থেকে ইমাম সাহেবের হুজরাখানা দূরে হওয়ায় তাঁর যাতায়াতে কষ্ট হয়।

মসজিদটি অনেক আগের নির্মিত হওয়ায় স্থানে স্থানে ধ্বসে গিয়ে ভাংগনের  উপক্রম হওয়ায় তা ভেঙ্গে ফেলা হয়।

সড়ক থেকে মসজিদ দূরে হওয়ায় পাঞ্জেগানা নামাযের জামাতে লোকজন খুবই কম হয়।

উপরোক্ত সমস্যাগুলোর কারণে মুসল্লীগণ চাচ্ছেন, মসজিদটি স্থানান্তর করে প্রধান সড়কের নিকটে নতুন করে নির্মাণ করতে।

এখন প্রশ্ন হল :

১. উপরোক্ত সমস্যাবলির কারণে মসজিদ স্থানান্তর করে অন্যত্র নির্মাণ করা যাবে কি?

২. যদি স্থানান্তর করা জায়েয হয় তবে মসজিদের জায়গাটিকে কী করবে? যদি সংরক্ষণ করতে হয় তাহলে কীভাবে সংরক্ষণ করবে?

মুফতী সাহেব, মহল্লাবাসী এ নিয়ে খুবই সমস্যায় আছে। তাই কুরআন ও হাদীসের আলোকে দলীল-প্রমাণের মাধ্যমে সমাধান দেওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।

বি.দ্র. বর্তমানে মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলায় মাদরাসায় নামায আদায় করা হচ্ছে। ফাতাওয়ার অপেক্ষায় সবাই অপেক্ষমান।

উত্তর

(১ ও ২) কোনো স্থানে মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে তা আবাদ রাখা এবং মসজিদ হিসাবে বহাল রাখা জরুরি।  এর স্থানান্তর বৈধ নয়। তাই প্রশ্নোল্লিখিত  পরিস্থিতিতে মসজিদটি স্থানান্তর করা যাবে না। বরং একে যথাস্থানে বহাল রেখে যথারীতি তা আবাদও রাখতে হবে। আর মুসল্লীদের প্রয়োজন ও সুবিধার্থে সুবিধাজনক স্থানে আরেকটি মসজিদ তৈরি করা যেতে পারে। এতে কোনো বাধা নেই।

-ফাতহুল কাদীর ৫/৪৪৬; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া  ২/৪৫৮;   শরহুল মুহাযযাব ১৬/৩২৯৯; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫৮

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন