মুহাররাম ১৪৩২ || ডিসেম্বর ২০১০

মুহাম্মাদ সালেহী রাশেদ - ফুলপুর, ময়মনসিংহ

২০৮৫. প্রশ্ন

 

সূরা ফালাক এবং সূরা নাস নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট জানতে চাই। আর এর উপকারিতাও জানতে চাই। শুনেছি, এই সূরার আমল করলে যাদুটোনা বা অন্যের অনিষ্ট থেকে হেফাযতে থাকা যায়।

 

উত্তর

 

প্রশ্নোক্ত সূরা দুটি নাযিল হওয়ার প্রেক্ষাপট বা শানে নুযূল হলহুদাইবিয়ার ঘটনার পর লাবীদ ইবনে আসাম এবং তার কন্যারা রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর যাদু করেছিল। ফলে তিনি কিছুটা কষ্ট অনুভব করেন এবং অসুস্থ হয়ে পড়েন। ফেরেশতাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা যাদুকরের নাম এবং কোথায়কিভাবে যাদু করা হয়েছে এ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছেন। চিরুনী ও চুলের সাহায্যে যাদু করা হয়যা যারওয়ান কূপের তলদেশে একটি পাথরের নিচে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। এই অসুস্থতার সময় প্রশ্নোক্ত সূরাদ্বয় নাযিল হয়েছে। সূরা দুটি নাযিল হওয়ার পর ফেরেশতাদের বিবরণ অনুযায়ী ওই কূপ থেকে তা তুলে আনা হয়। অতপর ওই সূরা দুটি পড়ে গিরা খুললে তৎক্ষণাত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ হয়ে উঠেন। 

এই সূরা দুটি পড়লে অনিষ্ট ও যাদু থেকে হেফাযতে থাকা যায়। হাদীস শরীফৈ প্রত্যেক ফরয নামাযের পর তা পড়ার গুরুত্ব এসেছে। এক বর্ণনায় এসেছেযে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা সূরা ইখলাস ও এই দুই সূরা পড়বে সে সকল বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকবে।

 

জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৯০৩; সুনানে আবু দাউদ,হাদীস : ১৫২৩; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস : ১৯২৬৬; সুনানে নাসাঈ ২/১৫৪; তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/৯১৭

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন