শাবান-রমযান ১৪৪২ || মার্চ-এপ্রিল ২০২১

সালেহ আহমাদ - নরসিংদী

৫৩৪১. প্রশ্ন

কিছু দিন আগে আমি খুব অসুস্থ ছিলাম। এমনকি লম্বা সময় পর্যন্ত আমার হুঁশও ছিল না। ফলে আমার ঐ দিনের ফজর, যোহর ও আছরের নামায কাযা হয়ে যায়। আমি মাগরিবের সময় উক্ত কাযা নামাযগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করে তারপর মাগরিবের নামায আদায় করি। অসুস্থতার কারণে লম্বা সময় নামায পড়তে সামান্য কষ্ট হয়েছিল। তারপরও আমি উক্ত নিয়মে কাযা নামাযগুলো আদায় করি। আমাদের এলাকার এক ভদ্র লোক, যে মাঝেমধ্যে কিছু দ্বীনী কিতাব পড়েন তিনি বললেন, আপনি উক্ত নামাযগুলো আপনার সুবিধা মত পড়লেই পারতেন, এত কষ্ট করার প্রয়োজন ছিল না। আমার জানার বিষয় হল, একাধিক কাযা নামায আদায়ের ক্ষেত্রে কি ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরি?

উল্লেখ্য, লম্বা সময় নামায পড়ার কারণে আমার অসুস্থতা বাড়েওনি এবং বাড়ার আশংকাও ছিল না।

উত্তর

ঐ নামাযগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করা নিয়মসম্মতই হয়েছে। কারণ কাযা নামাযের সংখ্যা পাঁচ ওয়াক্তের কম হলে সেগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে ধরাবাহিকতা রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামাযগুলোর মধ্যে প্রথম ফরয নামায আদায় করবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য ফরযগুলো আদায়ের পর ওয়াক্তিয়া নামায আদায় করবে।

Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ১৭৯; আলজামেউস সাগীর, পৃ. ৭৫-৭৬; আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৫৩; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/৩৪৫; আলইখতিয়ার ১/২২০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১২১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন