রবিউল আখির ১৪৪২ || ডিসেম্বর ২০২০

রেজাউল করীম - সাভার, ঢাকা

৫২৫৩. প্রশ্ন

আমাদের দেশে সাধারণত খতীবগণ জুমার দ্বিতীয় খুতবায় কুরআনুল কারীমের আয়াত-

اِنَّ اللّٰهَ وَ مَلٰٓىِٕكَتَهٗ یُصَلُّوْنَ عَلَی النَّبِیِّ  یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا صَلُّوْا عَلَیْهِ وَ سَلِّمُوْا تَسْلِیْمًا

 তিলাওয়াত করে থাকেন।

হুজুরের কাছে জানতে চাচ্ছি যে, আমরা তো জানি, খুতবা চলাকালীন মুসল্লীদের জন্য নীরব থাকা আবশ্যক। কিন্তু খতীব সাহেব যদি খুতবার মধ্যে উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন তারপরও তারা নীরবই থাকবেন, না খতীবের ন্যায় দরূদ শরীফ পাঠ করবেন? সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

জুমা ও ঈদের খুতবা চলাকালীন মুসল্লীদের চুপ থাকা ওয়াজিব। এ সময় সকল প্রকার কথাবার্তা এমনকি যিকর থেকেও বিরত থাকার নির্দেশ রয়েছে।

হযরত  আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-

وَجَبَ الْإِنْصَاتُ فِي أَرْبَعَةِ مَوَاطِنَ: الْجُمُعَةِ وَالْفِطْرِ وَالْأَضْحَى وَالِاسْتِسْقَاءِ.

চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিব: জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং ইসতিসকার (খুতবার) সময়। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৫৬৪২)

সুতরাং খতীব সাহেব প্রশ্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করলেও মুসল্লীগণ চুপ থাকবেন। মুখে উচ্চারণ করে দরূদ শরীফ পড়বেন না। বরং মনোযোগ সহকারে খুতবা শ্রবণ করবেন।

-তাফসীরে তাবারী ৬/১৬৪; মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, বর্ণনা ৫৩৬৯; কিতাবুল আছল ১/৩০৩; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৫৬০; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ৫৬৯; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৪৫

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন