রবিউল আউয়াল ১৪৪২ || নভেম্বর ২০২০

আবদুর রকীব - শ্যামপুর, ঢাকা

৫২২২. প্রশ্ন

আমাদের পরিবার দ্বীনদার হওয়ায় ছোটকাল থেকেই আমি সবসময় সচেষ্ট ছিলাম, যেন কখনো নামায ছুটে না যায়। তাই কখনো কোনো কারণে নামায ছুটে গেলেও সাথে সাথে তা কাযা করে নিতাম। কিছুদিন হল, আমি এক কোম্পানিতে সেলসম্যান হিসাবে চাকরি শুরু করেছি। ডিউটিতে ব্যস্ত থাকায় মাঝেমাঝেই যোহর, আসর ও মাগরিব নামায কাযা হয়ে যায়। তবে আমি প্রতিদিন নিয়মিতই রাতে বাসায় এসে উক্ত নামাযগুলোর কাযা পড়ে নিই।

এখন মুফতী সাহেবের কাছে আমি জানতে চাচ্ছি যে, রাতে কাযা করার সময় আমাকে কি উক্ত নামাযগুলোর নির্ধারিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পড়তে হবে?

উত্তর

হাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি কাযা নামাযগুলো ধারাবাহিকতা রক্ষা করেই আদায় করবেন। কেননা কাযা নামায ছয় ওয়াক্তের কম হলে তা ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আদায় করা ওয়াজিব।

উল্লেখ্য, পাঁচ ওয়াক্ত নামায নির্ধারিত সময়ে আদায় করা ফরয। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَی الْمُؤْمِنِیْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا.

নিশ্চয়ই নামায মুমিনদের উপর এমন এক অবশ্যপালনীয় কাজ, যা সময়ের সাথে আবদ্ধ। -সূরা নিসা (৪) : ১০৩

ইচ্ছাকৃত ফরয নামায সময়ের বাইরে পড়া কবীরা গুনাহ। সুতরাং কোনো মুমিনের জন্য এমন কোনো চাকরি বা কর্মে লিপ্ত না হওয়া কর্তব্য, যার দ্বারা সঠিক সময়ে নামায আদায়ে বিঘœ ঘটে। তাই আপনার জন্য আবশ্যক হল ডিউটিতে থাকলেও কোনোভাবে অন্তত ফরযটা পড়ে নেওয়া। আর যদি কোনোভাবেই ফরয নামায পড়ারও ব্যবস্থা না হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব এই চাকরি ত্যাগ করে এমন কোনো চাকরি অবলম্বন করা, যেখানে যথা সময়ে ফরয নামায আদাযের সুযোগ পাওয়া যায়।

-জামে তিরমিযী, হাদীস ১৭৯; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ১/৭০৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৪৭; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৫১৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৮৪, ৮৬; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৫০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন