সফর ১৪৪২ || অক্টোবর ২০২০

রহমাতুল্লাহ - সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ

৫২০০. প্রশ্ন

একদিন মাদরাসার দফতরে একাকী ফযরের নামায পড়ছিলাম। সেখানে দুজন ছাত্র এসে আমার ইকতেদা করতঃ আমার সাথে নামাযে শরীক হয়ে যায়। আমি একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি যেভাবে নামায পড়ে সেভাবেই নামায শেষ করি। নামায শেষে এদের একজন বলল, আপনার জন্য উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া জরুরি ছিল। প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে সঠিক নিয়মটা কী? কেউ যদি উঁচু আওয়াজে না পড়ে, তাহলে কি তার নামায হবে?

উত্তর

একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তির পেছনে কেউ যদি ইকতেদা করে আর সে ঐ ব্যক্তির ইমামতির নিয়ত করে তাহলে তার উপর ইমামের বিধান আরোপিত হবে। অর্থাৎ উচ্চ স্বরে কিরাত বিশিষ্ট নামাযে জোরে কিরাত পড়া আবশ্যক হবে। এক্ষেত্রে কিরাত অবস্থায় কেউ শরীক হলে বাকি কিরাত তাকে উচ্চ স্বরেই পড়তে হবে। আর যদি একাকী নামায আদায়কারী ব্যক্তি শরীক হওয়া লোকটির ইমামতির নিয়ত না করে তাহলে তার উপর উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া আবশ্যক হবে না। এক্ষেত্রে নি¤œ স্বরে কিরাত পড়লেও সকলের নামায সহীহ হয়ে যাবে। অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যদি ঐ ছাত্রদের ইমামতির নিয়ত করে থাকেন তাহলে আপনার উপর উচ্চ স্বরে কিরাত পড়া আবশ্যক ছিল। তা না করার কারণে সিজাদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়েছিল। আর যদি ইমামতির নিয়ত না করে থাকেন তাহলে নি¤œ স্বরে কিরাত পড়ার দ্বারাও নামায সহীহ হয়ে গিয়েছে।

-শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৬১৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭২; রদ্দুল মুহতার ১/৫৩২; জামেউর রুমূয ১/১৬৪

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন