রবিউস আখির ১৪৪১ || ডিসেম্বর ২০১৯

মোল্লা আবদুর রউফ - রাজশাহী

৪৯৬৬. প্রশ্ন

গত ঈদে আমি চাচার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আলোচনার একপর্যায়ে চাচা বললেন, তোমাকে একটা বিষয় বলে রাখছি। তা হল, আমার জানাযার নামায বড় ছেলে জাকির পড়াবে। সে যদি না পড়ায় তাহলে তুমি পড়াবে।

উল্লেখ থাকে যে, আমার জানা মতে জাকির ভাইয়ের কুরআন পড়া সহীহ-শুদ্ধ নয় এবং সে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাযও পড়ে না। এমনকি তার দাড়িও নেই এবং সে দেওয়ানবাগীর মুরিদ ও তার আকীদার প্রচারক। এমতাবস্থায় আমার জানার বিষয় হল-

ক. ইমাম হওয়ার জন্য কী কী গুণাগুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন?

খ. সে জানাযার নামায পড়াতে পারবে কি না?গ. তার ইমামতি যদি জায়েয না হয় তাহলে জানাযায় উপস্থিত হাফেজ আলেম ও সাধারণ দ্বীনদার শ্রেণীর করণীয় কী হবে? কুরআন-সুন্নাহ্র আলোকে দলীল-প্রমাণসহ দিকনির্দেশনাদানে জনাব মুফতী সাহেবের প্রতি বিনীত অনুরোধ রইল।

উত্তর

শরীয়তে ইমামতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অন্যান্য নামাযের ন্যায় জানাযার নামাযের ইমামতির জন্যও ইমামের সহীহ আকীদা-বিশ্বাসের অধিকারী হওয়া এবং কবীরা গুনাহে জড়িত না থাকা আবশ্যক। কোনো ভ্রান্ত আকীদার অনুসারী বিদআতী বা প্রকাশ্যে গোনাহের কাজে লিপ্ত ব্যক্তিকে জানাযার নামাযের ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া শরীয়তসম্মত নয়।

অতএব প্রশ্নোক্ত লোকটি যদি বাস্তবেই নিয়মিত ফরয নামায আদায় না করে অথবা বিদআতী গোমরাহ পীরের আকীদা-বিশ্বাসের অনুসারী ও প্রচারক হয় তাহলে এমন ব্যক্তিকে জানাযায় ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া সহীহ হবে না। এক্ষেত্রে পিতা ওসিয়ত করলেও সে ইমামতির হকদার হবে না। এমন ব্যক্তির জন্য পিতা ইমামতির ওসিয়ত করে গেলেও তার উপর আমল করা যাবে না; বরং উপস্থিত লোকদের মধ্যে উপযুক্ত দ্বীনদার ব্যক্তির মাধ্যমে জানাযা পড়াতে হবে।

-মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ৫০৩৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩৪৫; ফাতহুল কাদীর ২/৮৩; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৩/৪০৬; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন