রবিউল আউয়াল ১৪৪১ || নভেম্বর ২০১৯

আবুল বারাকাত - নাটোর

৪৯৩১. প্রশ্ন

আমার এক প্রতিবেশী আমার কাছ থেকে বড় অংকের একটা টাকা ঋণস্বরূপ গ্রহণ করেন। ঋণের জামানত স্বরূপ তার একটি গরু আমার কাছে বন্ধক রাখেন। গরুটি আমার কাছে হস্তান্তরের সময় তিনি বললেন, এর যা দুধ হয় আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। তিনি এবং আমি দুজনেই আমরা শরীয়ত মেনে চলার চেষ্টা করি। আমি যতদূর জানি। ঋণ দিয়ে তার বিপরীতে অতিরিক্ত কোনো সুবিধাগ্রহণ করলে সেটা সুদ হয়ে যায়। তো আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, এই যে বন্ধকী গরুটির দুধ তিনি আমাকে খাওয়ার কথা বললেন এটা সুদের পর্যায়ে চলে যায় কি না? নাকি এতে কোনো অসুবিধা নেই? জানিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর

ঋণদাতার জন্য বন্ধকী গরুর দুধ পান করা জায়েয নয়। তাই ঋণগ্রহীতা আপনাকে এর অনুমতি দিলেও তা পান করা বৈধ হবে না। কেননা ঋণের বিপরীতে এই অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণ সুদের অন্তর্ভুক্ত। হাদীসে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

হযরত আনাস রা.-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ

إِذَا أَقْرَضَ أَحَدُكُمْ قَرْضًا فَأُهْدِيَ إِلَيْهِ طَبَقٌ فَلَا يَقْبَلْهُ أَوْ حَمَلَهُ عَلَى دَابّةٍ فَلَا يَرْكَبْهَا إِلّا أَنْ يَكُونَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهُ قَبْلَ ذَلِكَ.

তোমাদের কেউ যদি কাউকে ঋণ দেয় এরপর সেই ব্যক্তি তাকে খাদ্যভর্তি কোনো থালা হাদিয়া দেয়, সে যেন তা গ্রহণ না করে কিংবা যদি তাকে তার বাহনে চড়াতে চায়, সে যেন তাতে না চড়ে। তবে যদি আগে থেকেই তাদের মধ্যে এমন সম্পর্ক থাকে (তাহলে অসুবিধা নেই)। (আসসুনানুল কুবরা, বাইহাকী ৫/৩৫০)

Ñতাবয়ীনুল হাকায়েক ৭/১৪৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৪৮২; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ৩/১৯৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন