জুমাদাল আখিরাহ-রজব ১৪৪০ || মার্চ ২০১৯

মুহাম্মাদ আমীন - বাগেরহাট

৪৭৪৩. প্রশ্ন

আমি গত রমযানে খুব অসুস্থ ছিলাম। কোনোভাবেই আমার জ¦র কমছিল না। আমার আম্মু মান্নত করলেন যে, যদি আমার ছেলে ঈদের আগে সুস্থ হয় তাহলে আমি ঈদের দিন রোযা রাখব। আল্লাহর রহমতে আমি ঈদের আগে সুস্থ হয়ে যাই। আমার আম্মু পূর্ব মান্নত অনুযায়ী ঈদের দিন রোযা রাখলেন। পরবর্তীতে তিনি গ্রামের এক মহিলার কাছে জানতে পারলেন, ঈদের দিন রোযা রাখা নিষেধ। মুহতারামের নিকট প্রশ্ন হল, ঐ মহিলার কথা কি ঠিক? যদি ঠিক হয় তাহলে আমার আম্মু ঈদের দিন যে রোযা রেখেছেন তা কি পুনরায় আদায় করতে হবে?

উত্তর

হাঁ, উক্ত মহিলার কথা ঠিক। ঈদের দিন রোযা রাখা নাজায়েয। হাদীস শরীফে ঈদের দিন রোযা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।

হযরত আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

نَهَى النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الفِطْرِ وَالنّحْرِ.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন রোযা রাখতে নিষেধ করেছেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৯১

তাই আপনার মাকে এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারণে তাওবা ইস্তিগফার করতে হবে।

আবশ্য ঈদের দিন রোযা রাখা যদিও নিষেধ। তবে ঐ দিন রোযা রাখলে তা রোযা হিসেবে গণ্য হবে। তাই আপনার মায়ের মান্নত আদায় হয়ে গেছে। তবে এক্ষেত্রে তার উচিত ছিল ঈদের দিনের পরিবর্তে অন্য কোনো দিন রোযা রেখে মান্নতটি পুরা করা।

-আততাজরীদ, কুদুরী ৩/১৫৭৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৮

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন