যিলকদ ১৪৩৯ || আগস্ট ২০১৮

আলাউদ্দীন সরদার - দক্ষিণ সুরমা

৪৫১১. প্রশ্ন

আমি বিদেশ থাকা অবস্থায় আমার মা বোনদের সাথে আমার স্ত্রীর ঝগড়া হওয়াতে সে তার পিত্রালয়ে চলে যায়। পরিবারের লোকেরা তাকে তালাক দিতে বলে। কিন্তু আমি দেইনি। দেড় বছর আগে দেশে আসলে পরিবারের লোকেরা আবারো তালাক দিতে চাপ দিতে থাকে। এমনকি একদিন রাতে কয়েকজন আমাকে নিয়ে বসে স্ত্রীকে তালাক দিব কি না জানতে চায়। আমি কোনো উত্তর না দেওয়াতে তারা আমার উপর ক্ষেপে যায়। এক পর্যায়ে আমার ছোট ভাই  (বেয়াদবীর সব সীমা অতিক্রম করে) পূর্ব থেকে সংগৃহীত একটি তালাকনামা আমার হাতে দিয়ে বলে যে তালাক না দিলে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে, বিদেশে যেতে দিবে না ইত্যাদি। অন্যান্যরাও তার কথার সমর্থন করে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। আচমকা এ পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে আমি তালাকনামা পূর্ণ করি। যাতে ‘আমি তোমাকে তিন তালাক দিলাম’ উল্লেখ করে নিচে দস্তখত করি। পুরো ঘটনায় আমি মুখ দিয়ে কিছুই বলিনি; বরং মনে মনে বলি ‘তালাক না তালাক না।’ এরপর তারা তালাকনামাটি আমার স্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। ছুটি শেষে আমি আবারো বিদেশ চলে আসি। এখনো আমি আমার স্ত্রীর উপর সন্তুষ্ট। তার সাথে সংসার করতে চাই। জানার বিষয় হল, কোনো সুযোগ আছে কি না?

উত্তর

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী বাস্তবেই যদি ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাপের মাধ্যমে আপনার থেকে তালাকনামায় স্বাক্ষর নেয়া হয়ে থাকে এবং আপনি মুখে তালাক উচ্চারণ না করে থাকেন তাহলে এর দ্বারা আপনার স্ত্রীর উপর কোনো তালাক পতিত হয়নি এবং আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল রয়েছে। তাই এখন আপনাদের ঘর-সংসার চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই।

-আলমুহীতুল বুরহানী ৪/৪৮৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৪৭২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩৭৯; রদ্দুল মুহতার ৩/২৩৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন