যিলকদ ১৪৩৯ || আগস্ট ২০১৮

আবীদুর রহমান - গফরগাঁও, ময়মনসিংহ

৪৫০৭. প্রশ্ন

কোনো দরিদ্র ব্যক্তি কারো পক্ষ থেকে বদলী হজ্বে গেল। এখন বাইতুল্লাহ দেখামাত্র নাকি তার উপর হজ্ব ফরয হয়ে যায়। তদ্রƒপ কেউ যদি ওমরায় যায়, বিশেষত রমযানে, তাহলেও নাকি বাইতুল্লায় পৌঁছলেই হজ¦ ফরয হয়ে যায়। এ কথা কতটুকু ঠিক? যদি এটা সঠিক হয় তাহলে তার করণীয় কী? সে যদি পরবর্তীতে কখনো হজ্বে যেতে না পারে তবে কী হবে? বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

‘কাবা শরীফ দেখলে কিংবা উমরা করতে গেলে হজ্ব ফরয হয়ে যায়’- এ ধারণা ঠিক নয়। কাবা শরীফ দেখা না দেখার সাথে হজ্ব ফরয হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। হজ্ব ফরয হওয়ার জন্য সামর্থ্য থাকা শর্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا.

যাদের নিকট এই ঘর (কাবা শরীফ) পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য আছে তাদের উপর এই ঘরের হজ্ব করা ফরয। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭

তাই হজ্ব ফরয হওয়ার জন্য হজ্বের মৌসুমে হজ্বে যাওয়া-আসার খরচসহ সফরে থাকাকালীন দিনগুলোতে পরিবারের লোকদের স্বাভাবিক খরচের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এছাড়া বর্তমানে হজ্বের জন্য সৌদি সরকার কর্তৃক অনুমতি থাকা এবং বৈধ ভিসাও প্রয়োজন। উমরা ভিসায় গিয়ে হজ্ব করার অনুমতি থাকে না। তাই উমরা করতে গিয়ে হজ্বের জন্য থেকে যাওয়া আইনত নিষেধ। সুতরাং উমরা করতে যাওয়ার কারণে হজ্ব ফরয হবে না।

-রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩; গুনইয়াতুন নাসিক ১৮, ২২, ৩৩৮; আলমাসালিক ১/২৬২; মানাসিক ৪২-৪৩, ৫৩; জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৫০৭

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন