যিলকদ ১৪৩৭ || আগস্ট ২০১৬

মিজানুর রহমান - কিশোরগঞ্জ

৩৭৯১. প্রশ্ন

আমি ঢাকায় একটি মাদরাসায় পড়াশুনা করি। একদিন এক দরিদ্র লোক এসে চিকিৎসার জন্য কিছু আর্থিক সহযোগিতা চাইল। খবর নিয়ে জানতে পারলাম তার বাড়ি ভোলা। এবং সে যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত। আর এদিকে আমি ইতিপূর্বে একটি কসম করে ভঙ্গ করেছি। তাই ভাবলাম, আমাকে তো দশজন দরিদ্রকে দুই বেলা খাওয়াতে হবে বা এর মূল্য দিতে হবেই তাহলে এই ব্যক্তিকে দুই বেলার মূল্য ১০০ টাকা দিয়ে দেই। কিন্তু আমার কাছে মাত্র পঞ্চাশ টাকা ছিল। তাই এক বেলার নিয়তে দিয়ে দেই। পরে জনৈক আলেম বিষয়টি জানতে পেরে বললেন, এভাবে কাফফারা আদায় হবে না। একজনকে পূর্ণ দুই বেলার মূল্যই দিতে হবে। এখন জানার বিষয় হল, ঐ আলেম কি ঠিক বলেছেন?


উত্তর

হাঁতিনি ঠিকই বলেছেন। কাফফারা আদায়ের জন্য দশজন মিসকীনের প্রত্যেককে দুই বেলা খাওয়াতে হবে বা দুই বেলা খাবারের মূল্য দিতে হবে। কাউকে শুধু এক বেলা খাওয়ালে বা এক বেলার মূল্য দিলে তা কসমের কাফফারার অন্তর্ভুক্ত হবে না। অবশ্য নির্দিষ্ট ঐ দরিদ্র ব্যক্তিকেই যদি আরেক বেলা খাওয়ানো বা এর মূল্য দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তখন কসমের কাফফারা হিসেবে ধর্তব্য হবে।

-আলমাবসূত, সারাখসী ৭/১৭; আলমুহীতুল বুরহানী ৫/১৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৬৩; আলবাহরুর রায়েক ৪/১০৮; রদ্দুল মুহতার ৩/৭২৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন