রবিউল আখির ১৪৩০ || এপ্রিল ২০০৯

মুহাম্মাদুল্লাহ - ডিআইটি প্লট গেন্ডারিয়া, ঢাকা

১৬০৩. প্রশ্ন

নামাযে মোবাইল বেজে উঠলে যদি নিম্নোক্ত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে তা বন্ধ করা হয় তাহলে নামাযের হুকুম কী হবে? কোন সুরতে নামায ভাঙ্গবে আর কোন সুরতে ভাঙ্গবে না। জানালে উপকৃত হব।

১. পাঞ্জাবি বা প্যান্টের পকেটে মোবাইল আছে। তা বের করা ছাড়াই পকেটের উপর থেকে চাপ দিয়ে কিংবা হাত ঢুকিয়ে সেখানেই এক হাত দ্বারা তা বন্ধ করা।

২. পাঞ্জাবি বা প্যান্টের সাইড পকেট থেকে বের করে এনে দেখে দেখে বন্ধ করা।

৩. বুক পকেট থেকে এনে দেখে বন্ধ করা।

৪. পকেট থেকে ফোল্ডিং সেট বের করে খুলে তারপর বন্ধ করা।

 


উত্তর

১. মোবাইলের দিকে না তাকিয়ে এক হাত দিয়ে দ্রুত বন্ধ করে দিলে নামায ফাসেদ হবে না। চাই পকেটের উপর থেকে বন্ধ করা হোক বা ভেতরে হাত দিয়ে বন্ধ করা হোক। নামায অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে তা বন্ধ করার এটি উত্তম ব্যবস্থা।

২. পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করলে, এক হাত দিয়ে বন্ধ করলেও নামায ভেঙ্গে যাবে। কারণ এ অবস্থায় কোনো আগন্তুক তাকে দেখলে সে নামাযে নেই বলেই প্রবল ধারণা করবে।

৩. বুক পকেট থেকে বের করে দেখে দেখে বন্ধ করলেও নামায ভেঙ্গে যাবে।

৪. ফোল্ডিং সেটও না দেখে এক হাত দ্বারা দ্রুত বন্ধ করে দিলে নামায ভাঙ্গবে না। কিন্তু যদি দুই হাত ব্যবহার করে কিংবা দেখে দেখে বন্ধ করে তবে নামায ভেঙ্গে যাবে। তেমনিভাবে এক হাত দিয়ে বন্ধ করতে গিয়ে যদি তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় ব্যয় হয়ে যায় তবুও নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।

-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১/৫৬৪; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৪৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১০৫; আলবাহরুর রায়েক ২/১১, ১২; রদ্দুল মুহতার ১/৬২৪, ৬২৫

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন