দিলাওয়ার হুসাইন - পাবনা

৩৩৭৮. প্রশ্ন

অনেক সময় আমরা সালাম দেওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরকে একসাথে সালাম দিয়ে ফেলি। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী? একজন আলেম বলেছেন, এমন হলে উভয়কেই উত্তর দিতে হবে। তার কথাটি কি ঠিক? আর যেক্ষেত্রে একটু আগ-পর করে সালাম দেওয়া হয় সেক্ষেত্রেও কি উভয়কে উত্তর দিতে হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন।

 


উত্তর

উক্ত আলেম ঠিকই বলেছেন। দুজন পরস্পরকে একসাথে সালাম দিলে প্রত্যেককে অন্যের সালামের জবাব দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কারো সালাম আগে হলে পরবর্তী জনের সালাম জবাব হিসেবে ধর্তব্য হবে। উল্লেখ্যসালামের ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় হলকেউ সালাম দিলে (তিনি বড় ব্যক্তি হোন বা ছোট) অপর ব্যক্তি স্পষ্টভাবে শুনিয়ে সালামের জবাব দিবে। এক্ষেত্রে পাল্টা তাকে আবার সালাম দেওয়া নিয়ম পরিপন্থী কাজ।

-সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৮৪১; শরহে মুসলিম, নববী ১৭/১৭৮; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৪৫৪, ৮/৪৬৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৮/৭৮

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ ইশতিয়াক - পটিয়া, চট্টগ্রাম

৩৩৭৯. প্রশ্ন

 

বাড়ির কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করতে পারি না। তাই আমি প্রায় সময়ই ফজর ও যোহরের নামাযের পর মসজিদে কিছুক্ষণ কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করি। অনেক সময় ঝিমুনি এলে মসজিদে ঘুমিয়ে পড়ি।

জানার বিষয় হল, উক্ত অবস্থায় মসজিদে ঘুমানো কি দোষণীয়? জানালে উপকৃত হব।

 


 

উত্তর

নাতিলাওয়াতযিকির ইত্যাদি ইবাদত করতে গিয়ে মসজিদে ঘুম এসে গেলে তা দোষণীয় হবে না। তবে এ সময়ও নফল ইতিকাফের নিয়ত করে নেওয়া উত্তম। আর সাধারণ অবস্থায় মুসাফির ও ইতিকাফকারী ছাড়া কিংবা দ্বীনী কাজের জরুরত ছাড়া অন্যদের জন্য মসজিদে ঘুমানো মাকরূহ। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেনতোমরা মসজিদকে ঘুমানোর স্থান বানিও না।

-জামে তিরমিযী ১/৪৩; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৬; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬১; শরহুল মুনইয়াহ ৬১২; আততাজনীস ১/৩৬৯; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২৭৮

শেয়ার লিংক

আনোয়ার শাহ মাবরূর - মাদানী মঞ্জিল, বারাহীপুর

৩৩৮০. প্রশ্ন

মাঝেমধ্যে কোনো কোনো মুসল্লিকে নামায শেষে পাশের জনের সাথে মুসাফাহা করতে দেখা যায়। আবার অনেককে দেখা যায়, ঈদের নামাযের পর মুসাফাহা-মুআনাকা করেন। শুনেছি, এগুলো নাকি বিদআত। এ বিষয়ে শরীয়তের বিধান জানালে উপকৃত হব।


উত্তর

মুসাফাহা-মুআনাকা সাক্ষাতের সময়ের একটি সুন্নত। এটি নামাযের পর করণীয় কোনো আমল নয়। নামাযের পর পরস্পরে মুসাফাহা-মুআনাকা করা সাহাবা-তাবেয়ীন ও সালাফে সালেহীন থেকে প্রমাণিত নেই।

সুতরাং কেউ যদি নামাযের পর মুসাফাহা-মুআনাকাকে এ সময়ের করণীয় আমল কিংবা সুন্নত মনে করে পালন করে তবে তা বিদআত হবে। অবশ্য কেউ যদি নামাযের পর কোনো ব্যক্তির সাথে সাক্ষাতের কারণে পাশের ব্যক্তির সাথে মুসাফাহা করে তবে তা সঠিক হবে এবং সুন্নত হিসেবেই ধর্তব্য হবে। এক্ষেত্রে এটা বিদআতের অন্তর্ভুক্ত হবে না।

-রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮১; আসসিআয়াহ ২/২৬৪, ২৬৫

শেয়ার লিংক