সাজিদুর রহমান - নাসির নগর, বি-বাড়িয়া
৬৭৫৬. Question
আমাদের এলাকায় মায়্যেতকে দাফন করার পর মুসল্লীরা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে তার জন্য দুআ করে থাকে।
জানতে চাই, দাফনের পর এভাবে দুআ করা কি শরীয়তসম্মত?
Answer
দাফনের পর কেবলামুখী হয়ে মায়্যেতের জন্য দুআ করা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে।
উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন–
كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ، وَسَلُوا لَهُ بِالتَّثْبِيتِ، فَإِنَّهُ الْآنَ يُسْأَلُ.
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মায়্যেতের দাফনের কাজ শেষ করে সেখানে অবস্থান করতেন এবং বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ইস্তিগফার কর, তার জন্য দৃঢ়তার দুআ কর (যেন সে সঠিক উত্তর দিতে পারে)। কেননা এখন তাকে প্রশ্ন করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩২১৩)
আরেক হাদীসে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন–
وَاللهِ لَكَأَنِّي أَرَى رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ، وَهُوَ فِي قَبْرِ عَبْدِ اللهِ ذِي الْبِجَادَيْنِ وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ رَضِيَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُمْ، يَقُولُ: أَدْلِيَا مِنِّي أَخَاكُمَا، وَأَخَذَهُ مِنْ قِبَلِ الْقِبْلَةِ حَتَّى أَسْنَدَهُ فِي لَحْدِهِ، ثُمَّ خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوَلَّاهُمَا الْعَمَلَ، فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ دَفْنِهِ، اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ رَافِعًا يَدَيْهِ يَقُولُ: اللهُمَّ إِنِّي أَمْسَيْتُ عَنْهُ رَاضِيًا، فَارْضَ عَنْهُ.
তাবুক যুদ্ধে আমি দেখলাম, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ যুল বিজাদাইনের কবরে নামেন। আবু বকর ও উমর রা. তার সাথে ছিলেন। নবীজী বলেন, তোমাদের ভাইকে আমার কাছে দাও। তিনি তাকে কেবলার দিক থেকে নিয়ে কবরে রাখেন। অতঃপর তিনি কবর থেকে উঠে বাকি কাজ আবু বকর ও উমর রা.-কে করতে দেন। দাফন থেকে ফারেগ হয়ে নবীজী কেবলামুখী হয়ে হাত তুলে এই দুআ করেন–
اللهُمَّ إِنِّي أَمْسَيْتُ عَنْهُ رَاضِيًا، فَارْضَ عَنْهُ.
হে আল্লাহ, আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট। সুতরাং আপনিও তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান। (হিলইয়াতুল আউলিয়া ১/১২২; মারিফাতুস সাহাবা ৩/১৩৫)
* >حلبة المجلي< ২/৬২৫ : ثم إذا سوى التراب عليه، يستحب لمشيعيه أن يقفوا على قبره، ويسألوا له التثبيت.
–মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১১৮২৭; ফাতহুল বারী ১১/১৪৮; আলজাওহারাতুন নায়্যিরা ১/১৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৬; রদ্দুল মুহতার ২/২৩৭