আতাউল্লাহ - ফেনী

৬৮২৭. Question

আমার হাতে এক জায়গায় ক্ষত হওয়ায় তাতে ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজ লাগিয়েছি এই ব্যান্ডেজের ওপর মাসেহ করলে কি ওযু হবে? মাসেহ না করে সরাসরি ব্যান্ডেজের ওপর পানি প্রবাহিত করে দিলে কোনো সমস্যা আছে?

Answer

ব্যান্ডেজ খুলে ক্ষতস্থানে পানি লাগানো বা সরাসরি ক্ষতস্থানের ওপর মাসেহ করা যদি ক্ষতিকর মনে হয়, তাহলে ওয়ান টাইম ব্যান্ডেজের ওপরও মাসেহ করতে পারবেন মাসেহ করার ক্ষেত্রে শুধু ভেজা হাত ব্যান্ডেজের ওপর ফেরাবেন ব্যান্ডেজের ওপর পানি প্রবাহিত করা জরুরি নয় অবশ্য পানি প্রবাহিত করলেও ওযু হয়ে যাবে

আর ব্যান্ডেজ খুলে ক্ষতস্থান ধোয়া বা সরাসরি এর ওপর মাসেহ করা ক্ষতিকর না হলে ব্যান্ডেজের ওপর মাসেহ করলে বা পানি প্রবাহিত করে দিলে ওযু সহীহ হবে না; বরং ব্যান্ডেজ খুলে সম্ভব হলে ক্ষতস্থানে পানি পৌঁছাতে হবে বা তার ওপর মাসেহ করে নিতে হবে

* >بدائع الصنائع< /৯০ : وأما شرائط جوازه، فهو أن يكون الغسل مما يضر بالعضو المنكسر والجرح والقرح، أو لا يضره الغسل، لكنه يخاف الضرر من جهة أخرى بنزع الجبائر، فإن كان لا يضره ولا يخاف لا يجوز، ولا يسقط الغسل؛ لأن المسح لمكان العذر، ولا عذر، ثم إذا مسح على الجبائر، والخرق التي فوق الجراحة جاز لما قلنا ... ومن شرط جواز المسح على الجبيرة أيضا أن يكون المسح على عين الجراحة مما يضر بها، فإن كان لا يضر بها لا يجوز المسح، إلا على نفس الجراحة، ولا يجوز على الجبيرة.

আলমাবসূত, সারাখসী ১/৭৪আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৬০; আলবাহরুর রায়েক ১/১৫; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ১১৬; রদ্দুল মুহতার ১/১০০

Sharable Link

মাহদী হাসান - মুগদা, ঢাকা

৬৮২৮. Question

মাঝেমধ্যে অলসতার কারণে তারাবীর নামায জমিনে বসে আদায় করি ওই দিন আমার এক বন্ধু বলল, ওযর ছাড়া তারাবী জমিনে বসে পড়লে আদায় হয় না

জানার বিষয় হল, তার কথা কি ঠিক?

Answer

তারাবীর নামায জমিনে বসে আদায় করলেও তা আদায় হয়ে যায় তবে এতে দাঁড়িয়ে আদায় করা অপেক্ষা অর্ধেক সওয়াব পাবে তাই অলসতা দূর করে দাঁড়িয়ে আদায় করার চেষ্টা করা উচিত তবে ওযরের কারণে বসে পড়াতে কোনো অসুবিধা নেই

* >الفتاوى الخانية< /২৪৩ : وقال بعضهم: يجوز أداء التراويح قاعدا بغير عذر، وفرقوا بين التراويح وبين سنة الفجر، وهو الصحيح، إلا أن ثوابه يكون على النصف من صلاة القائم.

আলমাবসূত, সারাখসী ২/১৪৭; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৩৬৮; আননাহরুল ফায়েক ১/৩০৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১১৮; রদ্দুল মুহতার ২/৪৮

Sharable Link

মুহা. সালেহ আহমাদ - ঢাকা

৬৮২৯. Question

আমার জানার বিষয় হল, মাগরিব নামায ইমামের পেছনে শুধু এক রাকাত পেলে বাকি দুই রাকাত আদায় করব কীভাবে? এক্ষেত্রে বাকি দুই রাকাত কি এক বৈঠকে আদায় করব, না দুই বৈঠকে? এবং কেরাত কী হিসেবে পড়ব? বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ করছি

Answer

মাগরিব নামায ইমামের সাথে শুধু এক রাকাত পেলে বাকি দুই রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে উভয় রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়ে এর সাথে সূরা মিলাবে এবং উভয় রাকাতের পর বৈঠক করবে প্রথম রাকাতের পর বৈঠক করে শুধু তাশাহহুদ পড়বে; দরূদ, দুআ মাছূরা পড়বে না এরপর দাঁড়িয়ে আরেক রাকাত পড়বে অতঃপর বৈঠক করে তাশাহহুদ, দরূদ শরীফ ও দুআ মাছূরা পড়ে নামায শেষ করবে

* >الفتاوى الهندية< /৯১ : لو أدرك ركعة من المغرب قضى ركعتين، وفصل بقعدة، فيكون بثلاث قعدات، وقرأ في كل فاتحة وسورة، ولو ترك القراءة في إحداهما تفسد.

আলমাবসূত, সারাখসী ১/১৮৯; আলমুহীতুর রাযাবী ১/৩০৮; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৪৬৮; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৭৯; আদ্দুররুল মুখতার ১/৫৯৬

Sharable Link

শেহজাদ - ধুনট, বগুড়া

৬৮৩০. Question

আমার দাদু মারা যাওয়ার আগে এতটাই অসুস্থ ছিলেন যে, বিছানায় শুয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা ইশারা করে নামায পড়ার সক্ষমতাও তার ছিল না প্রায় এক বছর তার এ অবস্থা ছিল এর আগে অসুস্থতা কম থাকায় নামায পড়তেন কিন্তু কেরাত, রুকু-সিজদা এবং রাকাতে ভুল করতেন তখন পাশ থেকে একজন সূরা পড়া, রুকু-সিজদা করার কথা বলে দিত আর তিনি এগুলো শুনে শুনে আদায় করতেন

এখন জানার বিষয় হল, তিনি যে বছর খানেক ধরে নামায পড়তেই পারেননি, সেজন্য তার পক্ষ থেকে তার ওয়ারিশদের কী করতে হবে? আর এর আগে কিছুদিন অন্যের সহযোগিতা নিয়ে যে নামাযগুলো পড়েছেন, ঐ নামাযের কী হুকুম? তা কি আদায় হয়েছে?

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার দাদু যেহেতু ঐ সময়গুলোতে শুয়ে মাথা দ্বারা ইশারা করে নামায পড়তেও সক্ষম ছিলেন না, তাই ঐ সময়গুলোর নামায তার যিম্মা থেকে মাফ হয়ে গেছে অতএব আপনাদেরকে ঐ নামাযগুলোর ফিদইয়া দিতে হবে না

আর অসুস্থতা কম থাকা অবস্থায় তিনি যে নামাযগুলো অন্যের সহযোগিতা নিয়ে পড়েছেন, তা আদায় হয়ে গেছে পাশ থেকে অন্যের নির্দেশনামতে তার নামায আদায় করাতে কোনো সমস্যা হয়নি অতএব সে নামাযগুলোরও ফিদইয়া আদায় করতে হবে না

রুকাইন রাহ. বলেন

دَخَلْتُ عَلَى أَسْمَاءَ وَهِيَ تُصَلِّي وَهِيَ عَجُوْزٌ، وَامْرَأَةٌ تَقُوْلُ لَهَا: ارْكَعِيْ وَاسْجُدِيْ.

আসমা রা.-এর বার্ধক্যের সময় আমি তার কাছে গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি নামায পড়ছেন আর এক মহিলা (পাশ থেকে নামাযের পদ্ধতি বাতলে দিয়ে) বলছেন, আপনি এখন রুকু করুন, এখন সিজদা করুন (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৩৪৯৭)

* >الفتاوى من أقاويل المشايخ< للسمرقندي، ص ৯৮ : وقال أبو بكر: إذا صار المريض بحال لا يستطيع أن يصلي على حالة من الأحوال، يعني لا بالإيماء ولا بغيره حتى مات، فإنه لا تجب عليه شيء من كفارة الصلاة، ولا يكون مأخوذا، وإن برئ وصح فإنه يكون مأمورا، بأن يقضي تلك الصلاة. قال الفقيه: يعني إذا كان ذلك أقل من يوم وليلة، وأما إذا كان أكثر من يوم وليلة، لا يجب عليه القضاء وإن برأ، كما قالوا في المغمى عليه.

কিতাবুল আছল ১/১৯০; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১০৫; আল-বাহরুর রায়েক ২/১১৬; জামেউর রুমূয ১/২৪৬; আদ্দুররুল মুনতাকা ১/২২৮; ই‘লাউস সুনান ৭/১৯৮

Sharable Link

শুরাইম - কুষ্টিয়া

৬৮৩১. Question

আমি জুমার নামাযে আমার ছেলেকে সাথে করে নিয়ে যাই অনেক সময় সে খুতবার সময় দুষ্টামি করতে থাকে খুতবার সময় তো কথাবার্তা বলা নিষেধ

জানার বিষয় হল, এ সময় কি ইশারা-ইঙ্গিতে তাকে চুপ করাতে পারব? এতে কি কোনো অসুবিধা হবে?

Answer

হাঁ, খুতবার সময় আপনি তাকে চুপ করানোর জন্য ইশারা-ইঙ্গিত করতে পারবেন এতে অসুবিধা নেই খুতবার সময় দ্বীনী-দুনিয়াবী সব ধরনের কাজকর্ম, কথাবার্তা নিষেধ কেউ এমনটি করলে তাকে বাধা দেওয়ার সুযোগ আছে

উল্লেখ্য, যেসব বাচ্চা বুঝের বয়সের হয়নি; মসজিদে নিয়ে গেলে মুসল্লীদের নামাযে ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা রয়েছে, তাদেরকে বুঝমান হওয়ার আগ পর্যন্ত মসজিদে না নেওয়াই উচিত

* >المحيط البرهاني< /৪৬১ : إذا لم يتكلم بلسانه، ولكنه أشار برأسه أو بيده أو بعينه، نحو أن رأى منكرا من إنسان، فنهاه بيده، وأخبره بخبر، فأشار برأسه، هل يكره ذلك أم لا؟ فمن أصحابنا رحمهم الله تعالى من كره ذلك، وسوى بين الإشارة وبين التكلم باللسان، والصحيح أنه لا بأس به.

খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২০৬; মুজতাবা, যাহেদী ২/২৭; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/২২৩; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৫৬০; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪৭

Sharable Link

মো. রবিউল ইসলাম - চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা

৬৮৩২. Question

আমি ২০১৭ সালে হিফয বিভাগে ভর্তি হই তিন বছরে হিফয শেষ করে এখন আমি কিতাব বিভাগে পড়ি আজ সাত বছর যাবৎ আমি কুরআন শরীফ পড়ছি কখনো সিজদার আয়াত পড়ার পর সিজদা করিনি এখন জানতে পারি যে, সিজদার আয়াত পড়ার পর সিজদা করা ওয়াজিব

আমার জানার বিষয় হল, আমি কীভাবে সিজদাগুলো আদায় করব? জানালে খুব উপকৃত হব

Answer

আপনি বালেগ হওয়ার পর থেকে কতবার কুরআন কারীম খতম করে থাকতে পারেন এবং খতম ছাড়াও আলাদাভাবে কী পরিমাণ সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে থাকতে পারেন এর সম্ভাব্য একটি হিসাব প্রবল ধারণা অনুযায়ী বের করবেন সতর্কতামূলক কিছু বেশিও ধরে নিতে পারেন অতঃপর সে অনুযায়ী সিজদাগুলো আদায় করতে থাকবেন

প্রকাশ থাকে যে, সিজদাগুলো আদায়ের ক্ষেত্রে কোন্ আয়াতের সিজদা আদায় করছেন, তার নিয়ত করা জরুরি নয়; বরং শুধু তিলাওয়াতের সিজদার নিয়ত করাই যথেষ্ট

আর প্রতি সিজদার পর উঠে দাঁড়ানো মুস্তাহাব; জরুরি নয় তাই বসেই একসাথে একাধিক সিজদা করলেও সিজদা আদায় হয়ে যাবে

উল্লেখ্য, কুরআন কারীমে সিজদার আয়াত সর্বমোট ১৪টি তাই প্রতি খতমের জন্য আলাদাভাবে ১৪টি সিজদা আদায় করা জরুরি

শরহু মুখতাসারিল কারখী, কুদূরী ২/৫৫; আলমাবসূত, সারাখসী ২/৬, ২/১০; আলবাহরুর রায়েক ২/১১৮, ১১৯; রদ্দুল মুহতার ২/১০৬, ১০৭, ৩৮৮

Sharable Link

শামীম আহমাদ - উত্তরা, ঢাকা

৬৮৩৩. Question

আমার ছোট মামা কিছুটা মানসিক রোগাক্রান্ত ছিলেন গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান পাঁচ দিন পর বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি দূরে এক জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ঘটনাস্থলের কিছু লোক এলাকার কবরস্থানে তার দাফনের ব্যবস্থা করে সংবাদ পেয়ে আমরা কবর যিয়ারতে যাই তখন পরিবারের অনেকেই বলেন, মামার লাশ স্থানান্তর করে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হোক

জানার বিষয় হল, এ অবস্থায় লাশ স্থানান্তর করা যাবে কি?

Answer

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার মামার লাশ ওই কবর থেকে স্থানান্তর করে নিয়ে আসা বৈধ হবে না কেননা কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পর শরীয়ত স্বীকৃত বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা, স্থানান্তর করা নাজায়েয তাই ওই মৃতের পরিবার-পরিজনের এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসা জরুরি

* >الفتاوى من أقاويل المشايخ< للسمرقندي، ص৮০ : وسئل أبو نصر عن امرأة مات ولدها، وهو غائب عنها، ودفن هناك، والأم لا تصبر عنه، هل يجوز أن ينبش القبر، ويحمل إلى موضع تكون هي أقرب منه؟ قال: لا ينبش الميت بعد دفنه، وينبغي للأم أن تصبر على مصيبتها، وتذكر ميتها بالدعاء، ويقر ميتها حيث دفن.

আলহাবিল কুদসী ১/২৬৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৯৫; আততাজনীস ওয়াল মাযীদ ২/২৭৯; ফাতহুল কাদীর ২/১০১; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৬০৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৯৫

Sharable Link

আবুল ফারাহ - লালবাগ, ঢাকা

৬৮৩৪. Question

গত বছর আমার পাঁচ হাজার টাকা যাকাত আসে যাকাতের হিসাব করার পর আমি নিয়ত করি, এখন থেকে গরিব-মিসকীনদের যত সাহায্য সহযোগিতা করব, সব যাকাতের টাকা থেকেই হিসাব হবে তবে আমি সে জন্য কোনো টাকাপয়সা আলাদা করে রাখিনি এরপর পুরো বছর বিভিন্ন সময়-সুযোগে দান-সদকা করি দান করার সময় কখনো যাকাতের নিয়ত করেছি আবার কখনো সাধারণ দান হিসাবেই সদকা করেছি সুনির্ধারিতভাবে যাকাতের নিয়ত ছিল না

জানার বিষয় হল, যেহেতু আমি বছরের শুরুতে সকল দান-সদকার ব্যাপারে যাকাতের নিয়ত করে নিয়েছি, তাই যেসব সদকা সাধারণ দান হিসাবে করেছি, দেওয়ার সময় সুনির্ধারিতভাবে যাকাতের নিয়ত ছিল না, তা কি যাকাত হিসাবে আদায় হয়েছে?

Answer

যাকাত আদায় হওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকে তা যাকাতের নিয়তে দেওয়া জরুরি এ নিয়ত দুইভাবে করা যায়

১. প্রতিবার দেওয়ার সময় যাকাতের উদ্দেশ্যে দান করা

২. যাকাত আদায়ের উদ্দেশ্যে কিছু টাকা আলাদা করে রাখা, এ নিয়ত করে যে, টাকাগুলো দ্বারা শুধু যাকাত প্রদান করা হবে

দ্বিতীয় প্রকারের টাকা থেকে যাকাত দেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত লোকদের দেওয়ার সময় প্রতিবার নিয়ত করা জরুরি নয়; বরং টাকাগুলো পৃথকভাবে সংরক্ষণ করার সময় যে নিয়ত করা হয়েছিল, তা-ই যথেষ্ট হবে কিন্তু যদি যাকাতের নিয়তে সম্পদ পৃথক করে না রাখে, তাহলে দরিদ্রদেরকে যাকাত দেওয়ার সময় প্রতিবারই যাকাতের উদ্দেশ্য করে দিতে হবে

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু যাকাত আদায়ের নিয়তে যাকাতের টাকা পৃথক করে রাখেননি, তাই এক্ষেত্রে যেসকল দান-সদকা যাকাতের নিয়তে করেননি, ওই সকল দান যাকাত হিসেবে আদায় হয়নি; বরং নফল হিসাবে আদায় হয়েছে এক্ষেত্রে আপনার বছরের শুরুর ওই নিয়ত যাকাত আদায়ের জন্য যথেষ্ট নয় তাই আপনাকে ওই পরিমাণ টাকার যাকাত পৃথকভাবে আদায় করে দিতে হবে আপনি পূর্বের নফল দানের জন্য সওয়াবের ভাগী হবেন

* >بدائع الصنائع< /১৪৬ : وأما وقت النية، فقد ذكر الطحاوي: ولا تجزئ الزكاة عمن أخرجها إلا بنية مخالطة لإخراجه إياها، كما قال في باب الصلاة، وهذا إشارة إلى أنها لا تجزئ، إلا بنية مقارنة للأداء، ... والصحيح أن النية تعتبر في أحد الوقتين، إما عند الدفع وإما عند التمييز، هكذا روى هشام عن محمد في رجل نوى أن ما يتصدق به إلى آخر السنة، فهو عن زكاة ماله، فجعل يتصدق إلى آخر السنة، ولا تحضره النية، قال: لا تجزئه.

মুখতাসারুত তাহাবী, পৃ. ৪৫; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী, জাস্সাস ২/২৬৮; উয়ূনুল মাসায়েল পৃ. ৩৩; তুহফাতুল ফুকাহা, পৃ. ১/৩১০-৩১১; আলমুলতাকাত, পৃ. ৭৩; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী, ইসবিযাবী ১/৫২১; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৪/৮৭; আননাহরুল ফায়েক ১/৪১৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৮-২৬৯

Sharable Link

বুরহানুদ্দীন - কুমিল্লা

৬৮৩৫. Question

এবার আলহামদু লিল্লাহ আব্বু-আম্মুর সাথে হজ্বে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার আম্মু একদিন ইহরাম অবস্থায় মাথা থেকে একটা উকুন মেরে ফেলেন মেরে ফেলার পর খেয়াল হয় যে, ইহরাম অবস্থায় মাথার উকুন মারা নিষেধ

প্রশ্ন হল, উক্ত ভুলের কারণে কি তার ওপর কোনো জরিমানা আসবে?

Answer

হাঁ, উক্ত ভুলের কারণে তার ওপর সামান্য কিছু খাদ্যদ্রব্য যেমন এক টুকরো রুটি বা তার মূল্য (পাঁচ/দশ টাকা পরিমাণ) সদকা করা আবশ্যক হয়েছে

হুর ইবনে সাইয়াহ রাহ. বলেন

سَمِعْتُ ابْنَ عُمَرَ، وَسُئِلَ عَنِ الْمُحْرِمِ يَقْتُلُ الْقَمْلَةَ، قَالَ : يَتَصَدَّقُ بِكِسْرَةٍ، أَوْ بِقَبْضَةٍ مِنْ طَعَامٍ.

একবার আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-কে জিজ্ঞেস করা হল, কেউ যদি ইহরাম অবস্থায় মাথার উকুন মেরে ফেলে, তাহলে তার বিধান কী?

জবাবে তিনি বলেন, সে এক টুকরো রুটি বা এক মুষ্টি খাবার সদকা করে দেবে (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৫৮৭৮)

* >الجامع الصغير< ص ১৫৩ : محرم قتل برغوثا أو نملة أو بقا، فلا شيء عليه، وإن قملة، أطعم شيئا.

উয়ূনুল মাসায়েল, পৃ. ৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৯০; আলবাহরুর রায়েক ৩/৩৪; রদ্দুল মুহতার ২/৫৬৯

Sharable Link

তোফায়েল আহমাদ - নীলফামারী

৬৮৩৬. Question

কিছুদিন আগে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করার জন্য তাকে বায়েন তালাক দিই তালাকের পরপরই সে তার বাবার বাড়িতে চলে গেছে আমি তাকে ইদ্দত এখানেই পালন করে যেতে বলেছি কিন্তু সে কোনো কথা না শুনেই নিজের বাবার বাড়িতে চলে গেছে অথচ এখানে তার ইদ্দত পালনে কোনো বাধা ছিল না

জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে তার ইদ্দতকালীন ভরণপোষণ আদায় করা কি আমার ওপর জরুরি? আমি যদি তার ভরণপোষণ না দিই, তাহলে কি আমি গুনাহগার হব? আশা করি সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন

Answer

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তার ইদ্দতকালীন ভরণপোষণ আদায় করা আপনার ওপর জরুরি নয় এক্ষেত্রে তাকে ভরণপোষণ না দিলে আপনি গুনাহগারও হবেন না কেননা স্বামীর বাড়িতে ইদ্দত পালনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তালাকপ্রাপ্তা মহিলা সেখানে ইদ্দত পালন না করলে ইদ্দতকালীন ভরণপোষণের সে হকদার না অবশ্য মহিলাটি যদি ইদ্দতের ভেতর তালাকদাতার বাড়িতে ফিরে আসে, তাহলে ইদ্দতের বাকি দিনগুলোর ভরণপোষণ তাকে দিতে হবে

* >المحيط البرهاني< /৩২৮المعتدة إذا خرجت عن بيت العدة تسقط نفقتها، هكذا روي عن الضحاك مطلقا. فهذا عندنا ما دامت على النشوز، فإن عادت إلى بيت الزوج، كان لها النفقة والسكنى، كما في حال قيام النكاح.

ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৪৮; আযযাখীরাতুল বুরহানিয়া ৪/৪৫৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৪০৮; আলবাহরুর রায়েক ৪/১৯৯; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৬০৯

Sharable Link

মাহবুব তাকী - মাদারীপুর

৬৮৩৭. Question

ছোটবেলা থেকেই আমার মামাতো বোনের সাথে আমার বিয়ের একটি আলাপ আমার মা-বাবা ও মামা-মামির মধ্যে ছিল কিন্তু এখন তাদের চূড়ান্তভাবে প্রস্তাব করলে তারা গড়িমসি করে এতে আমার বাবা-মা’র খুব পেরেশানী হয় তা দেখে আমি তখন মান্নত করি যে, ওর সাথে যদি আমার বিবাহ হয়, তাহলে আমি তিনটি রোযা রাখব তারপর আস্তে আস্তে ওর মা-বাবা রাজি হয়ে যায় এবং বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে যায় বিবাহের তারিখ ঠিক হওয়ার পর বিবাহের কয়েকদিন আগেই আমি মান্নতের রোযাগুলো রেখে ফেলি এখন শুনছি, বিবাহের পর নাকি আমাকে আবার নতুন করে মান্নতটি পূর্ণ করতে হবে

হুজুরের কাছে সঠিক সমাধান জানতে চাই

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ওই তিন দিন রোযা রাখার দ্বারা মান্নত আদায় হয়নি মান্নতটি আদায় হওয়ার জন্য আপনাকে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার পর তিন দিন রোযা রাখতে হবে কেননা প্রশ্নোক্ত মান্নতটি বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার সাথে শর্তযুক্ত ছিল অতএব এর আগে উক্ত রোযাগুলো রাখার দ্বারা তা মান্নত হিসাবে আদায় হয়নি; বরং নফল হিসেবে গণ্য হবে

* >المحيط البرهاني< /৩৭২ : وإذا علق النذر بالصوم بشرط، وأداه قبل وجود الشرط، لا يجوز إجماعا.

কিতাবুল আছল ২/১৯৮; ফাতাওয়া কাযীখান ১/২১৯; ফাতহুল কাদীর ২/৩০৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯৭; রদ্দুল মুহতার ২/৪৩৭

Sharable Link

শাকের হাসান - চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

৬৮৩৮. Question

কিছুদিন আগে আমার বাবা ইন্তেকাল করেছেন ইন্তেকালের ছয় মাস আগে একজনের কাছে তার একটি জমি বন্ধক রেখে দুই লক্ষ টাকা ঋণ নেন

পাঁচ মাস পর আমার বাবার আবারও নগদ টাকার প্রয়োজন হলে ঋণদাতাকে বলেন, এখন আমার বন্ধকের জমিটি বিক্রি করা দরকার তোমার টাকা আমি এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করে দিব

তো তার সম্মতি নিয়ে তিনি জমিটি বিক্রি করে দেন কিন্তু এক মাসের আগেই বাবা ইন্তেকাল করেন ওই ব্যক্তির ঋণ আর পরিশোধ করা হয়নি

এখন আমরা বাবার মিরাস বণ্টন করতে চাচ্ছি এক্ষেত্রে উক্ত জমি নিয়ে আমাদের খটকা হচ্ছে, জমিটি তার মিরাসি সম্পদের অন্তর্ভুক্ত হবে কি না? কারণ বাবা ঋণ পরিশোধ না করেই বন্ধকি জমিটি বিক্রি করেছেন এই বিক্রি সহীহ হয়েছে কি না? সহীহ না হলে তো জমিটি বাবার মিরাস হবে তাছাড়া জমিটি আমাদের দরকারও আছে আমরা যদি উক্ত জমির খরিদদারকে তার দেওয়া মূল্য ফেরত দেই, তাহলে উক্ত জমিটি আমাদের হবে কি না? দয়া করে জানালে উপকৃত হব

Answer

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার পিতা যেহেতু বন্ধকি জমিটি বন্ধকগ্রহীতার সম্মতিতেই অন্যের কাছে বিক্রি করেছেন, তাই তার ওই বিক্রি তখনই সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং ক্রেতা ওই জমির মালিক হয়ে গেছে সুতরাং বিক্রীত ওই জমিটি এখন আপনার পিতার মিরাস সম্পত্তি নয় তাই ওই জমিতে বর্তমানে আপনাদের কোনো অধিকার নেই; বরং এ জমির মালিকানা এখন সম্পূর্ণ ক্রেতার ক্রেতা যদি আপনাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টাকা ফেরত নিয়ে আপনাদেরকে জমি বুঝিয়ে দেয়, তবে সেক্ষেত্রে আপনারা জমিটির মালিক হবেন নতুবা সম্মত না হলে তার থেকে এটি ফেরত নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই

আর বিক্রীত ওই জমিটি আপনাদের মালিকানায় ফেরত আসুক বা না আসুক সর্বাবস্থায় সকল ওয়ারিশের কর্তব্য হল, মিরাস বণ্টনের আগে আপনার পিতার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকে তার অনাদায়ি ঋণ পরিশোধ করা ঋণ আদায়ের পর তার কোনো বৈধ অসিয়ত না থাকলে বাকি সম্পত্তি ওয়ারিশদের মাঝে বণ্টিত হবে

* >تبيين الحقائق< /১৮০ : (ويوقف بيع الراهن على إجازة مرتهنه أو قضاء دينه) وعن أبي يوسف رحمه الله أنه ينفذ؛ لأنه تصرف في ملكه، فصار كالإعتاق، والصحيح ظاهر الرواية؛ لأن الرهن تعلق به حق المرتهن، وفي البيع إبطال حقه، فلا ينفذ إلا بإجازته لرضاه أو بقضاء الراهن دينه.

আলজামিউল কাবীর, পৃ. ২৬২; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৫৯৭; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ৪/২৪৬; মাজমাউল আনহুর ৪/২৯৪; আলবাহরুর রায়েক ৬/১০১; শরহুল মাজাল্লা, আতাসী ২/৭৪

Sharable Link

মাসুদ - নওগাঁ

৬৮৩৯. Question

আমার আব্বু তার ইন্তেকালের আগে অসিয়ত করেছিলেন যে, তার রেখে যাওয়া সমুদয় সম্পদ থেকে আমাদের গ্রামের মাদরাসার গরিব ছাত্রদের জন্য যেন ৫০ হাজার টাকা দান করা হয় কিন্তু আমার আম্মু এ ৫০ হাজার টাকা সেখানে না দিয়ে আমার নানা বাড়ির পাশের মাদরাসার গরিব ছাত্রদের জন্য দিতে বলছেন 

জানতে চাই, আমার আব্বু যে মাদরাসার গরিব ছাত্রদের জন্য এ টাকা দান করার অসিয়ত করেছেন, সেখানে না দিয়ে অন্য মাদরাসায় তা দান করলে আমার আব্বুর অসিয়তটি আদায় হবে কি না?

Answer

অসিয়তের ঐ টাকা আপনার নানা বাড়ির পাশের মাদরাসার গরিব ছাত্রদের জন্যও দান করা যাবে তবে আপনার আব্বু যে মাদরাসায় দান করার অসিয়ত করেছিলেন, সেই মাদরাসার গরিব ছাত্রদেরকে দেওয়াই উত্তম হবে

* >الفتاوى من أقاويل المشايخ< ص ৬৪০: وسئل إبراهيم بن يوسف عن رجل أوصى لفقراء أهل بلخ، قال: الأفضل للوصي أن لا يجاوز بلخ، وإن هو أعطى في كورة أخرى جاز.

আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়িখ, পৃ. ৬৫১; আলমুহীতুর রাযাবী ৯/৪৬০; আলমুহীতুল বুরহানী ২২/৩১০; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ১৪৮; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৬৬৪

Sharable Link

আবরার - লক্ষ্মীপুর

৬৮৪০. Question

কখনো অমুসলিমদের সাথে দেখাসাক্ষাৎ হয় এবং তাদের সাথে লেনদেন করতে হয় এক্ষেত্রে তাদের সাথে কি সালাম বিনিময় বা মুসাফাহা করা যাবে? আর সাক্ষাৎকালে তাদেরকে নমস্কার বলার কী হুকুম?

Answer

বিধর্মীকে সালাম দেওয়া নিষেধ হাদীস শরীফে এসেছে, আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

لَا تَبْدَؤُوْا الْيَهُوْدَ وَلَا النَّصَارَى بِالسَّلَامِ.

তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে সালাম দিয়ো না (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১৬৭)

তাই অমুসলিমকে সালাম দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে

বিশেষ ক্ষেত্রে অমুসলিমকে অভিবাদন করার প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে সৌজন্যমূলক সামাজিক কোনো অভিবাদনসূচক বাক্য ব্যবহার করবে অথবা সালামের স্থলে

السَّلَامُ عَلٰى مَنْ اتَّبَعَ الْهُدٰى.

(শান্তি বর্ষিত হোক তার প্রতি, যে সৎপথের অনুসরণ করে)

বাক্যটি বলা যেতে পারে

আর কোনো অমুসলিম সালাম দিলে উত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকুম’ বলবে পুরো উত্তর দেওয়া যাবে না

হাদীস শরীফে এসেছে, আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

إذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أهْلُ الكِتَابِ فَقُوْلُوْا: وَعَلَيْكُمْ.

যখন কোনো কিতাবী (ইহুদী, খ্রিস্টান) তোমাদের সালাম দেয়, তখন তোমরা বলবে ‘ওয়া আলাইকুম’ (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২৫৮)

আর অমুসলিমদের সাথে মুসাফাহা করাও মাকরূহ তাই তাদের সাথে মুসাফাহা করবে না তবে কখনো তাদের সাথে মুসাফাহা করার বিশেষ প্রয়োজন হলে তার সাথে মুসলমানদের ন্যায় মুসাফাহা না করে কোনো দুআ পড়া ছাড়া হ্যান্ডশেক করে নেবে

আর নমস্কার সম্পূর্ণ হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি এবং হিন্দুদের ধর্মীয় প্রণাম তাই মুসলমানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় হিন্দুরা নমস্কার বললেও মুসলমানদের এটি বলা থেকে বিরত থাকা আবশ্যক

* >المحيط البرهاني< /১৯-২০ : وأما التسليم على أهل الذمة فقد اختلفوا فيه أيضا، قال بعضهم: لا بأس به؛ ... وقال بعضهم: لا يسلم عليهم؛ ... وهذا إذا لم يكن للمسلم حاجة إلى الذمي، فإن كانت للمسلم حاجة، فلا بأس بالتسليم عليه؛ لأن النهي عن السلام لتوقيره، ولا توقير للذمي إذا كان السلام لحاجة. ويكره مصافحة الذمي؛ لأن فيه توقير الذمي. ولا بأس برد السلام على أهل الذمة، ولكن لا يزاد على قوله: وعليكم.

* >رد المحتار< /৪১২: (قوله كما كره للمسلم مصافحة الذمي) أي بلا حاجة؛ لما في القنية: لا بأس بمصافحة المسلم جاره النصراني إذا رجع بعد الغيبة، ويتأذى بترك المصافحة اهـ. تأمل.

বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩০৬; উয়ূনুল মাসায়েল, পৃ. ১৮১; ফাতাওয়া খানিয়া ৩/৪২৩; আয্যাখীরাতুল বুরহানিয়া ৭/২৬৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩২৫, ৩৪৮; মিরকাতুল মাফাতীহ ৮/৪৭০; ফাতাওয়া রহীমিয়া ১০/১২৬ 

Sharable Link