ক) আমাদের এলাকায় ধানের উপর টাকা লাগানোর প্রচলন রয়েছে। তা এভাবে যে, জমির মালিক বৈশাখ মাস আসার আগেই প্রতি হাজারে তিন মণ ধান দেবেন বলে টাকা নেন। অতপর নির্ধারিত সময়ে ধান দিয়ে দেন। এখন আমার প্রশ্ন হল, ধানের উপর এভাবে টাকা লাগানো জায়েয কি না? এ সম্পর্কে শরীয়তের হুকুম কি? জানালে কৃতজ্ঞ হব।
খ) অনেকসময় জামাতে নামাযের মধ্যে মোবাইল বেজে উঠে। যা নামাযে ব্যাঘাত ঘটায়। এখন আমার প্রশ্ন হল, নামাযের মধ্যেই হাত দ্বারা মোবাইল বন্ধ করা যায় কি না? বন্ধ করলে কি আমালে কালীল বা কাছীর হয়ে যাবে? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ হব।
         
        
            
ক) হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে ধানের আগাম খরিদ জায়েয। তবে এক্ষেত্রে নিম্নোক্ত শর্তাবলির প্রতি লক্ষ রেখে লেনদেন করতে হবে :
১. ধান প্রদানের সময় ও স্থান নির্ধারণ করতে হবে।
২. ধানের প্রকার ও পরিমাণ নির্দিষ্ট করতে হবে।
৩. কোন বিশেষ ক্ষেতের ধান দেওয়ার শর্ত করা যাবে না।
৪. ধানের মূল্য পুরোটা অগ্রিম আদায় করে দিতে হবে।
৫. মেয়াদান্তে ক্রেতাকে ধানই গ্রহণ করতে হবে।
বিক্রেতা যদি ধান দিতে না পারে তবে ক্রেতা কেবল তার আদায়কৃত টাকাই গ্রহণ করতে পারবে। কম-বেশি করা যাবে না।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ২২৪০; ফাতহুল কাদীর ৬/২১-২৩০; রদ্দুল মুহতার ৫/২১৪, ২১৮; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৩৯২
উত্তর : খ) নামায অবস্থায় মোবাইল বেজে উঠলে আপন অবস্থায় থেকেই এক হাত দ্বারা তা বন্ধ করে দিবে। এক্ষেত্রে দুই হাত ব্যবহার করা যাবে না। কেননা একসঙ্গে দুই হাত ব্যবহার করলে নামায ভেঙ্গে যাবে।