খবর... অতঃপর...
জাতীয়
r বাল্যবিয়ে ঠেকাতে নাশতার খরচই ২৩৪ কোটি
বাল্যবিয়ে ঠেকাতে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে ২০১৮ সালে ‘কিশোর-কিশোরী ক্লাব’ স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয় মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর। সারা দেশে চার হাজার ৮৮৩টি ক্লাব তৈরির মাধ্যমে আট লাখ ৭৮ হাজারের বেশি কিশোর-কিশোরীকে সুবিধা দেওয়ার কথা রয়েছে।
মূল অনুমোদিত প্রকল্পে মোট ব্যয় ছিল ৫৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সারা দেশে ৪ হাজার ৮৮৩টি ক্লাবে নাশতার খরচ হিসেবে ধরা হয়েছিল ২৩৪ কোটি টাকার বেশি।... ... অনুমোদন পেতে যাওয়া প্রস্তাবনায় প্রকল্পটির মোট ব্যয়ের ৩০ শতাংশই যাচ্ছে নাশতার খরচে।
কী ধরনের নাশতা দেওয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, বাচ্চাদের নাশতায় ডিম দেওয়া হয়। সঙ্গে বিস্কুট, কলাও দেওয়া হয়।
দৈনিক আমার দেশ, ২৪ জুন, ২০২৫
l রাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের মাথা অনেক উর্বর থাকে। বুদ্ধির কোনো শেষ নেই। নাশতা খাইয়ে আর বিয়ের অনুষ্ঠানে হানা দিয়ে যদি বাল্য বিয়ে ঠ্যাকানো যেত, তাহলে তো ব্যাপারটি অনেক সহজই ছিল। কিন্তু বাস্তবে কী হয় সবাই জানে। যে অভিভাবকরা মেয়েদেরকে কম বয়সে বিয়ে দিতে চান, তারা চুপিসারেই কাজটি সেরে নেন। এছাড়া হাল আমলে যেসব কম বয়সী ছেলে -মেয়ে অভিভাবকদের এড়িয়ে বিয়ে করতে চায়, তাদের জন্য তো এদেশের নোটারী পাবলিক ও একশ্রেণির কাজীদের দ্বার খোলাই রয়েছে। তাদের কাছে গেলেই মেয়েটির বয়স আঠারো হয়ে যায়। যদিও সে ১২/১৩/১৫ বছরের হয়। তাই এসব করে শুধু রাষ্ট্রের টাকাই ব্যয় হবে; কাজের কাজ হবে না।
মনে রাখতে হবে, বিবাহ একটি সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি ও বিধান। কোনো আইন চাপিয়ে দিয়ে এসব নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়।
এসব ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম চালু হয়ে গেলে সেগুলোও ঠেকাতে হবে সঠিক ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। ক্লাবে ডেকে নাশতা খাওয়ালে জনগণের কষ্টার্জিত রাষ্ট্রের টাকাই নষ্ট হবে, কাজের কাজ হবে না। এছাড়া নাশতার টাকা কি কিশোরীদের পেটে যায়, নাকি এলাকার রাজনৈতিক পাতি নেতাদের পকেটে যায়, তাও তো দেখার বিষয়।
r নোয়াখালীতে ৪ হাজার ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল গ্রেপ্তার, সাময়িক বরখাস্ত
দৈনিক প্রথম আলো, ২৫ জুন ২০২৫
l বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে মাদক ব্যবসা ও মাদকাসক্ত লোকের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়া এবং গ্রামে-গঞ্জে, তৃণমূল পর্যায়ে মাদক ছড়িয়ে পড়ার পেছনে আওয়ামী নেতাকর্মীদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যদের যোগসাজশ থাকার কথা শোনা যায়। এ খবর সে সত্যকেই আবার সামনে নিয়ে এল।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তো কোনো দলীয় সরকার নয়, এদের বিষয়ে তাদের বাড়তি চাপ থাকার কথা নয়। তারাও যদি এসব ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে জাতির হতাশ হওয়া ছাড়া আর কি-ই বা করার থাকে।
r বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি সুবিধাভোগী চক্র আন্দোলন করছে : রিজভী
দৈনিক আমার দেশ, ২৭ জুন ২০২৫
l শুধু আন্দোলন কেন, বিএনপির নামে এবং বিএনপির পরিচয়ে পুরো দেশ থেকেই তো চাঁদাবাজি, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে আহত-নিহত হওয়ার খবর ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই। একটি ক্ষমতা প্রত্যাশী বড় দল হিসেবে এসব নিয়ন্ত্রণ করা কি বিএনপির দায়িত্ব নয়? শুধু নাম ভাঙিয়ে বলার দ্বারা কি বিএনপি সে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারবে?
r এই হাছিনা শেখ হাসিনা নয়, তবুও বারবার বদলাচ্ছে স্কুলটির নাম
২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত স্কুলটির নাম ছিল ‘পাঁচবাড়ীয়া হাছিনা ওয়াজেদ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। ওই বছর জাতীয়করণের সময় সরকার ‘হাছিনা’ বানানটি বদলে দেয়। স্কুলের নাম দাঁড়ায় ‘পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। গত ৫ আগস্টের পর আবারও পাল্টে স্কুলটির নাম হয়েছে ‘পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮০৮টি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া আরও ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকার ৬০৩ নম্বরে রয়েছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম।
দৈনিক প্রথম আলো, ২৭ জুন ২০২৫
l এটাকেই বলে নামে নামে জমে টানে।
r সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানো যাবে না : নীরব
দৈনিক আমার দেশ, ২৭ জুন ২০২৫
l এটা তো এখন বিএনপির সকলেরই বুলি। তবে এটাও তো ঠিক, যাচ্ছেতাই নির্বাচন কোনোভাবেই কাম্য নয়। নির্বাচন তো ২০০৯, ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪-এও হয়েছিল। এমনকি ১৯৯৬ সনের বিএনপি আমলের প্রথম নির্বাচনটির কথা বলা যেতে পারে। শুধু আওয়ামী আমলের নির্বাচন কেন? ১৯৯৬ সালের প্রথম নির্বাচন (ষষ্ঠ জাতীয় নির্বাচন), কুখ্যাত মাগুরার নির্বাচন– এসবের কথাও তো মানুষ ভুলে যায়নি। বিএনপি আগে তার নেতাকর্মীদের শান্ত-সভ্য করুক, তারপরে নির্বাচনের জন্য চাপ দিক।
r ইসকনের ওপর গোয়েন্দা নজরদারির তাগিদ
ইসকন নতুন করে নিজেদের সংগঠিত করে আবারো দেশকে অস্থির করার জন্য অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র আভাস দিয়েছে।
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৭ জুন ২০২৫
l এ ধরনের সংগঠন জিইয়ে রাখাই দেশ ও জনগণের চরম ক্ষতির কারণ। তাদের থেকে এমন কী ভালো আশা করা যায় যে, গোয়েন্দা নজরদারি করে শুধু তাদের মন্দ জিনিসগুলোর প্রতি লক্ষ রাখা হবে।
r ৩০০ এমপির বিরুদ্ধে একাই লড়েছি : রুমিন ফারহানা
দৈনিক আমার দেশ, ২৮ জুন ২০২৫
l এখন কার বিরুদ্ধে লড়ছেন?
r ‘ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করা হবে’
দৈনিক সময়ের আলো, ২৮ জুন ২০২৫
l এসব চাপাবাজি বাংলাদেশের মানুষ অনেক শুনেছে। মুখের কথায় আপনারা হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পেছনে ফেলতে পারবেন না। সুতরাং বাস্তবভিত্তিক কথা বলুন। বর্তমান প্রজন্ম এখন আর এত বোকা থাকেনি যে, কিছু বললেই চোখ বন্ধ করে গিলে ফেলবে।
কর্মসংস্থান করার যদি সঠিক পরিকল্পনা থাকে, সেটা কী ও কীভাবে হবে, সেটা বিস্তারিত বলুন, তবেই সেটার সম্ভাব্যতা জাতি যাচাই করে দেখতে পারবে।
r উপদেষ্টা পরিষদের অনেকের মধ্যে বোল্ডনেস দেখতে পাইনি : সারজিস
দৈনিক মানব জমিন, ২৮ জুন ২০২৫
l সেটার দায়ও কিছুটা আপনাদের ওপর বর্তায়। আপনারা ডক্টর ইউনূস সাহেবকে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছেন, কিন্তু তার টিম অর্থাৎ উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদের মনোনয়নে আপনারা বা আপনাদের পরামর্শদাতারা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে শুরু থেকেই মনে হয়নি। সেটার ফল তো ভোগ করতেই হবে। তবে তা আপনারা একা ভোগ করছেন না, ভোগ করছে পুরো জাতি।
r প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মতো সিনেমা হল দরকার’ : জাহিদ হাসান
দৈনিক মানবজমিন, ২৮ জুন ২০২৫
l না হলে আপনারা যাবেন কোথায়? নিজেদের রুটিরুজির জন্য তো ভালোই চিন্তা। অবশ্য এ যুগে আপনারা যেসকল সিনেমা বানান, তা দ্বারা বাড়তি বোনাস হিসেবে তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের চরিত্র ধ্বংস ও অধঃপতনের দিকে ঠেলে দেওয়ার বিষয়টিও যুক্ত হবে।
আরেকটি কথা, এখন তো হাতে হাতেই স্মার্টফোনের আকারে সিনেমা হল তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরও কি নতুন করে আরও হল বানানোর দরকার আছে?
r জুলাই যোদ্ধাদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে : রিজভী
দৈনিক যুগান্তর, ২৮ জুন ২০২৫
l তার আগে বোঝা দরকার, জুলাই যোদ্ধাদের মর্যাদা কোথায় নিহিত। জুলাই যোদ্ধারা যে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জানবাজি রেখে লড়াই করেছে, তারা তো দেশের প্রশাসন, আইন-আদালত, পার্লামেন্ট, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনশৃঙ্খলা, সমাজ ব্যবস্থাসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর ধ্বংস করে গেছে; এসবের সংস্কার ছাড়া জুলাই যোদ্ধাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হবে কি? তাদেরকে কিছু ভাতা, ক্ষতিপূরণ বা চাকরি-বাকরি দিয়ে দিলে সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া এবং চাকরিতে তাদেরকে কোটা দেওয়ার মতোই ঘটনা ঘটবে। যা মুক্তিযুদ্ধকে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে কলুষিত করেছে চরমভাবে। তাই আসল মর্যাদার বিষয়টির দিকেই নজর দেওয়া দরকার।
r ৭১ টিভিকে শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পর ক্ষমা চাইলেন এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন
দৈনিক আমার দেশ, ২৯ জুন ২০২৫
l নাসীরুদ্দীনরা এখনই যদি শত্রু-মিত্র একাকার করে ফেলেন, তাহলে জাতি ভবিষ্যতে তাদের কাছে কী আশা করতে পারে!?
r ঘুসের টাকা ফেরত দিতে মাইকিং
পটুয়াখালীর বাউফলে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণের সময় নেওয়া ঘুসের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
সোমবার ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে তেঁতুলিয়া নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার দৈনিক যুগান্তরে ‘বাউফলে ঘুসের বিনিময়ে চাল বিতরণের ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে খবর প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। পরে সেনাবাহিনীর নির্দেশে সোমবার ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ঘুসের টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেন। বিকাল ৩টায় ঘুসের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য জেলেদের অনুরোধ জানিয়ে চেয়ারম্যান তার এলাকায় মাইকিং করান।
দৈনিক যুগান্তর, ৩০ জুন ২০২৫
l উদ্যোগটি ভালো। তবে এটি যদি করা যেত সচিবালয় ও অন্যান্য সরকারি বড় অফিসগুলোর রাঘববোয়াল ঘুসখোরদের ক্ষেত্রে, তাহলে নির্ঘাত অল্প দিনেই ঘুসের বাজারে নিয়ন্ত্রণ এসে যেত।
r ডিএমপি কমিশনার
‘আ.লীগের সময় জঙ্গি নাটক সাজিয়ে ছেলেপেলেদের মেরেছে’
দৈনিক আমার দেশ, ১ জুলাই ২০২৫
l এটিই তো এ জাতির ট্র্যাজেডি। দেশের জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় গঠিত ও লালিত-পালিত হওয়া বাহিনীগুলোকে জনগণের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হয়।
r মধ্যপ্রাচ্যে ঘোষণা দিয়ে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবাসীরা মারামারি করে : আসিফ নজরুল
বাংলা ট্রিবিউন, ২ জুলাই ২০২৫
l শুধু কি মারামারি? নিজ দেশের মতো বিদেশে গিয়েও রাজনৈতিক দলাদলি, গোষ্ঠীগত ও আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব জিইয়ে রাখাসহ অনেক কাজেই আমরা সিদ্ধহস্ত। জাতির এই অবক্ষয়গুলো রোধ করার সঠিক পন্থা কী? কীভাবে এসব ক্ষত সারানো যেতে পারে? কীভাবে মেরামত করা যাবে এ ভঙ্গুর দুর্র্বলতা? একজন শিক্ষক হিসেবে আসিফ নজরুল সাহেব এবং তাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্মানিত শিক্ষকেরা এসব নিয়ে ভাবেন কি?
r দুদকের তলবেও হাজির হননি তারেক সিদ্দিকী ও বসুন্ধরার মালিক
দৈনিক আমার দেশ, ২ জুলাই ২০২৫
l এগুলো কি একথা প্রমাণ করে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও কিছু লোকের দাপট ও ক্ষমতা সরকার থেকেও বেশি। ওসব কোম্পানির মালিকেরা শুধু কি রাষ্ট্রীয় নির্দেশ অমান্য করছেন? তারা অসংখ্য ভুয়া তথাকথিত মিডিয়া হাউস খুলে জাতি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ফন্দি আঁটাও তো অব্যাহত রেখেছেন।
r মুসলমান হত্যার উসকানিদাতা যোগীকে আধ্যাত্মিক বললেন চবির কুশলবরণ
দৈনিক আমার দেশ, ৬ জুলাই ২০২৫
l ওদের তো এগুলোই আধ্যাত্মিকতা! ভারতে কী হচ্ছে? সেখানেও তো ধর্মের দোহাই দিয়ে দেদারসে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।
r সীমান্তে দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ : নাহিদ ইসলাম
দৈনিক প্রথম আলো, ৬ জুলাই ২০২৫
l দাদাদের বাহাদুরির দিন শেষ হবে কি না– এটা নির্ভর করবে আপনারা ও আপনাদের মতো রাজনীতিকদের সদিচ্ছা, সততা ও সত্যিকারের দেশপ্রেমের ওপর। এখনই তো বিভিন্ন দলের মধ্যে আলামত দেখা যাচ্ছে, তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দাদাদের খুশি করতে ব্যস্ত রয়েছেন।
r গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ এনে কোটালীপাড়ায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে কোটালীপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
আজ রোববার উপজেলার ঘাঘর বাজারের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
স্থানীয় বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা কোনো গণগ্রেপ্তার করছি না। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যাঁরা আছেন, তাঁদেরকেই আমরা গ্রেপ্তার করছি। ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৩০ জনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে গণগ্রেপ্তার কীভাবে হল?’
দৈনিক প্রথম আলো, ২০ জুলাই ২০২৫
l সংবাদ সম্মেলন তো ভালো কথা। এখান থেকে কেউ আবার অন্য কিছু বের করে ফেলবে না তো! এনসিপিকে ঠ্যাকানোর জন্য আওয়ামী ছদ্মবেশে উনাদের লোকজন যায়নি তো। বিনা দোষে যে কাউকেই গ্রেফতার করা অন্যায়; কিন্তু গোপালগঞ্জে কয়জন বিএনপি আছে যে, গণ গ্রেফতার হলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
r গবেষকদের সতর্কতা
চোখের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে ফাইজারের কোভিড টিকা
দৈনিক আমার দেশ, ২১ জুলাই ২০২৫
l সে আর বলতে! শুধু ফাইজার কেন, বিভিন্ন কোম্পানির কোভিডের টিকাগুলো মানবস্বাস্থ্যে যে কত প্রকারের স্থায়ী ক্ষত তৈরি করে গেছে, তা তো ভুক্তভোগীমাত্রই অবগত রয়েছে। তড়িঘড়ি করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া এসব টিকায় ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো হলেও তা বিশ্বব্যাপী গণস্বাস্থ্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়েছে।
r প্রথম আলো গোলটেবিল
৪০ বছরে এমন সংকট দেখিনি : এ কে আজাদ
‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক : কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে হা-মীম গ্রুপের এমডি এ কে আজাদ এই কথা বলেন। প্রথম আলো রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ গোলটেবিল আয়োজন করে। সেখানে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও গবেষকেরা অংশ নিয়েছেন।
দৈনিক প্রথম আলো, ২১ জুলাই ২০২৫
l পতিত স্বৈরশাসন এ কে আজাদের কাছে তো খারাপ লাগবে না। যেহেতু তারা বছরকে বছর নিজেদের দল ও সরকার থেকে পাওয়া সুবিধা থেকে বছরখানেক বঞ্চিত রয়েছেন। আবার তিনি তো ডামি ইলেকশনের একজন এমপি-ও। যার ফলের মধু এক বছর ভোগ করার আগেই হাতছাড়া হয়ে গেছে। এসব লোকদেরকে যারা গোলটেবিল বৈঠকে আমন্ত্রণ জানায় তাদেরকেও চিনে রাখা দরকার।
প্রতিবেশী
r আলজাজিরার অনুসন্ধান
গুলির ভয় দেখিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে বিএসএফ
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৬ জুন ২০২৫
l এ পর্যন্ত তো অনেককেই ঠেলে দিয়েছে। এভাবেই কি আর ভারতের ২৪ কোটি মুসলমানকে দেশছাড়া করা যাবে? অনেকেই বলছেন, হিন্দুত্ববাদীদের এ পুশব্যাক সন্ত্রাস তাদের বিরুদ্ধেই অস্ত্র হয়ে দাঁড়াবে।
r ‘অনুকূল পরিবেশে’ সব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী ভারত : জয়সোয়াল
দৈনিক প্রথম আলো, ২৭ জুন ২০২৫
l সে অনুকূল পরিবেশ আসবে কখন? এতদিন যারা নিঃস্বার্থ তাদের গোলামি করে গেছে, তারা তো এখন বিতাড়িত। একটি রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের তো দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে ইতিবাচক ও সৌহার্দপূর্ণভাবে পারস্পরিক কাজ চালিয়ে যাওয়া। কিন্তু প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি তা তো করছেই না; বরং এদেশে গণহত্যাকারী ও লুটপাটকারী গোষ্ঠীকে আদরযত্নে নিজেদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে। সেখান থেকেই তো তারা পরিবেশকে প্রতিকূল করে রেখেছে। আবার তারা অনুকূল পরিবেশে আলোচনার প্রত্যাশা করছে। এটি হাস্যকর নয় কি?
r পাক-ভারত যুদ্ধ
রাফাল পাইলটের মৃত্যুর কথা স্বীকার দিল্লির
দৈনিক আমার দেশ, ৭ জুলাই ২০২৫
l ধীরে ধীরে স্বীকার না করে তো উপায় নেই। এখন কি আর আগের সময় আছে? চাইলেই সবকিছু দীর্ঘদিন লুকিয়ে রাখা যাবে।
r ডাইনি সন্দেহে বিহারে একই পরিবারের পাঁচজনকে পুড়িয়ে হত্যা
দৈনিক প্রথম আলো, ৮ জুলাই ২০২৫
l কুসংস্কারে বিশ্বাসীদের কুসংস্কারের সামান্য একটি নমুনা এটি ।
আন্তর্জাতিক
r জর্ডানিয়ান সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক উত্তেজনার সময় আমরা ১৫৬টি ইরানি ড্রোন, ১০৭টি ওয়ারহেড এবং ১৩২টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছি।
হিব্রু গণমাধ্যম, ২৪ জুন ২০২৫
l ইসরাইলের তল্পিবাহক হওয়ার প্রমাণ দেওয়ার জন্য এত কিছু না করলেও হত, আরব রাজা-বাদশারা ভাবছে, তারা ইসরাইলকে খুশি রেখে নিজেদের গদি রক্ষা করে যাবে; কিন্তু সময় বলবে, জালেম ইসরাইল টিকে গেলে এ রাজা-বাদশাদের গদিও একদিন নড়বড়ে হয়ে উঠবে।
r আমরা খামেনিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম : ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
দৈনিক প্রথম আলো, ২৭ জুন ২০২৫
l কোথায়, খামেনি তো এখনো জীবিতই আছে! বোঝা গেল, ব্যক্তি, জাতি এবং যাকে ইচ্ছা তাকে শেষ করে দেওয়ার আপনাদের খায়েশ পূরণ হওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই।
r গাজায় ব্যর্থ ইসরাইল, স্বীকার করলেন তিন মন্ত্রী
দৈনিক আমার দেশ, ২৭ জুন ২০২৫
l প্রশ্ন হল, মন্ত্রীরা যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান করছে কার কাছে? যারা যুদ্ধ করছে, তারা আবার আহ্বান করবে কেন? তাদের মধ্যে যদি পাপের অনুভূতি তৈরি হয়ে থাকে, কিছুটা হলেও শুভবুদ্ধির উদয় হয়ে থাকে, তাহলে তো তারা যুদ্ধ বন্ধই করে দিত। এসব হয়তো তাদের কোনো শয়তানী কৌশলমাত্র।
r সাক্ষাৎকার : জাভেদ সিরাজি
ইরানিদের মধ্যে পারমাণবিক বোমার দাবি বাড়ছে
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৮ জুন ২০২৫
l বাড়াই তো স্বাভাবিক। যার অজুহাতে তাদের ওপর গায়ে পড়ে হামলা করা হয়েছে, হত্যা করা হয়েছে তাদের বহু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বকে। সেটি তো তারা চাইবেই।
r গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো সহায়তার ব্যাগে মাদক
এটাও সম্ভব যে এই বড়িগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ময়দার ভেতর গুঁড়ো করে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি আক্রমণ
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ২৮ জুন ২০২৫
l যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল গাজায় সহায়তার নামে চরম তামাশা করে যাচ্ছে। আর জাতিসংঘসহ বিশ্ববিবেক নীরবে তা পর্যবেক্ষণ করছে (মাসিক আলকাউসারের চলতি সংখ্যায় এ বিষয়ে একটি নিবন্ধও প্রকাশিত হয়েছে)।
r আল-আকসা চত্বরে নাচ-গানের অনুমতি দিলো ইসরাইল
ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল-৭ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘বেন-গাভিরের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, এই প্রথমবারের মতো পবিত্র স্থানে ইহুদি দর্শনার্থীদের গান, নাচ ও মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে।’
দৈনিক নয়া দিগন্ত , ২৮ জুন ২০২৫
l আর কতভাবে তারা অসম্মান করবে মুসলমানদের প্রথম কেবলাকে। তারা তো দাবি করে থাকে, এটি তাদের জন্যও সম্মানিত স্থান। তাহলে কি শুধু মুসলমানদের মনে কষ্ট দেওয়ার জন্যই এমনটি করা!
গ্রন্থনা : ওয়ালিউল্লাহ খান