Muharram 1447   ||   July 2025

প্রসঙ্গ : ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ

দুদিন আগে খবর এসেছে, পাকিস্তান সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিছু দিন থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানীদের প্রতি একটু বেশি খাতির দেখাচ্ছেন কয়েকদিন আগে দেশটির সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সায়্যিদ আসেম মুনিরকে ওয়াশিংটনে ডেকে ভালোই মেহমানদারি করেছেন পাক সেনাপ্রধানের সাথে সাক্ষাতের পর ট্রাম্প বলেছেন, এ সাক্ষাৎ করতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন ট্রাম্পের প্রতি পাকিস্তানের বাড়তি টানের শুধু এটিই কারণ নয়; বরং গত মাসে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ভূমিকা রেখেছেন বলেও দাবি করে থাকেন সে যুদ্ধের সময়ও ট্রাম্প দৃশ্যত পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিলেন ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে, তিনি প্রকাশ্যেই এর প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্পের প্রতি শাহবাজ শরীফ সরকারের বাড়তি টানের অন্য একটি কারণও হতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গত বছর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় থেকেই পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানের লোকেরা এ আশঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছিল, এবার ট্রাম্প জয়ী হলে তিনি পাকিস্তান সরকারের ওপর বন্দি ইমরান খানকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করবেন কারণ যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইমরান খানের লবিস্টরা বেশ কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেসম্যান ও সিনেটরের মাধ্যমে সেদেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিল, যেন ইমরান খানকে জেল থেকে মুক্ত করতে মার্কিন সরকার প্রভাব খাটায় কিন্তু ক্ষমতায় বসার পর দেখা গেল ভিন্ন চিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে মুখই খোলেননি; বরং পাকিস্তান সরকারের সাথে কাজ করে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এসব কারণে হয়তো ট্রাম্পের প্রতি পাকিস্তান সরকার বাড়তি আকর্ষণ বোধ করছে কিন্তু পাকিস্তানের মনে রাখা দরকার, ট্রাম্পের মতো লোকদের ওপর কোনোক্রমেই আস্থা রাখা যায় না কারণ একে তো তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র কোনো মুসলিম দেশের প্রকৃত বন্ধু হবে বোকারা ছাড়া কেউ কি এমন কল্পনা করবে? এমতাবস্থায় ট্রাম্পের প্রতি পাকিস্তানীদের এই বাড়তি আগ্রহ চূড়ান্ত বিচারে তাদের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে বলে মনে হয় না এই যে ট্রাম্প ইরানের ওপর আক্রমণ করে বসলেন; এখন পাকিস্তান কী বলবে? এখনো কি তারা ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার কথা বলবে? ইরান তো পাকিস্তানের অতি নিকটতম প্রতিবেশী; পাকিস্তান কি ইরানের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে পারবে? নাকি খারাপ করা উচিত? সুতরাং এমন কিছু করা উচিত নয়, যার কারণে পরে পস্তাতে হয়

অবশ্য ইতিমধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইরানে মার্কিন হামলার কঠোর নিন্দা করেছেন এবং শাহবাজ শরীফ ইরানের রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন

ইরানে ইসরাইল এবং পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিম ও অন্যান্য তুলনামূলক শান্তিকামী রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা দেখে আবারও মনে পড়ে গেল কবির সেই বিখ্যাত পঙ্ক্তিগুলো

جلتے گھر کو دیکھنے والو پھوس کا چھپّر آپ کا ہے

آگ کے پیچھے تیز ہوا ہے ، آگے مقدر آپ کا ہے

জ্বলন্ত ঘরের তামাশা যে দেখছেন,

পাশের খড়ের ঘরটি আপনার

আগুনের পেছনে প্রবল বাতাস,

সামনে আপনার ভাগ্য

اس کے قتل پہ میں بھی چپ تھا میرا نمبر اب آیا

میرے قتل پہ آپ بھی چپ ہیں اگلا نمبر آپ کا ہے

সে খুন হওয়ার সময় আমি নীরব ছিলাম, এখন আমার পালা

আমি খুন হচ্ছি, আপনিও নীরব হয়ে আছেন, সামনে আপনার পালা

 

advertisement