শামীমা সোবহা - সিলেট

প্রশ্ন

আমি মেশকাত জামাতের ছাত্রী। আমি অত্যন্ত ভারাক্রান্ত মনে আমার সমস্যার কথা জানাচ্ছি। আমার অনেক আশা, আমি পরিপূর্ণ মনোযোগ নিয়ে দরসে বসবো এবং প্রতিটি বিষয়ের তাকরীর মন দিয়ে শুনবো। আমার আশা অনুযায়ী দরসের মধ্যে পূর্ণ মনোযোগ নিয়ে বসি। কিন্তু আফসোসের বিষয় হল, দরস চলাকালীন অবস্থায় কোত্থেকে যে একেকটা বিষয় এসে মনের মধ্যে উদয় হয় আর সব মনযোগ নষ্ট করে দেয়। এরপর আর কিছুতেই দরসে মন বসাতে পারি না। আমি কীভাবে দরসে মন বসাতে পারি? জানিয়ে সহযোগিতা করবেন।


উত্তর

অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা-ভাবনা কমানোর উপায় হলসকল অপ্রয়োজনীয় বিষয় থেকে দূরে থাকা এবং যথাসম্ভব নিজেকে ইলম ছাড়া অন্য সকল ঝামেলা ও ব্যস্ততা থেকে মুক্ত রাখা এবং অন্তরকে ইলমের মুহাব্বতে পরিপূর্ণ করা। এ ছাড়া অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা দূর করার জন্য নিম্নোক্ত দুআ নিয়মিত পাঠ করতে পারেন- 

رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَّحْضُرُوْنَ. اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ وَسَاوِسِ الصَّدْرِ، وَشَتَاتِ الْأَمْرِ.

আর যদি কোনো দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকে তবে তার চিকিৎসা হলনিজেকে আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু করুন এবং নিজের সকল বিষয়কে আল্লাহ তাআলার সোপর্দ করে ভারমুক্ত হোন এবং পড়াশোনায় মগ্ন থাকুন। সকাল-সন্ধা নিম্নোক্ত মাছুর দুআটি পাঠ করুন।

اللّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ، وَقَهْرِ الرِّجَالِ.

শেয়ার লিংক

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক - কাফিয়া জামাত, ঢাকা

প্রশ্ন

একটি দীর্ঘ চিঠি।

 

উত্তর

লেখা পড়ার বিষয়ে বিভিন্ন পেরেশানীর কথা উল্লেখ করে আপনার একটি দীর্ঘ চিঠি আমি পেয়েছি। আপনি সুযোগ করে সরাসরি সাক্ষাৎ করুন। সাক্ষাতে বিস্তারিত অবস্থা শুনে পরামর্শ দেওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। আসার পূর্বে যোগাযোগ করে সময় নির্ধারণ করে আসবেন।

শেয়ার লিংক

আব্দুল্লাহ বিন সোহরাব - জামিয়া আরাবিয়া মিনহাজুল উলূম , শাহাবাজপুর, জামালপুর

প্রশ্ন

আল্লাহ তাআলা হযরতকে নেক হায়াত দান করুন। আমি নাহবেমীর জামাতের একজন ছাত্র। হযরতের কাছে একটি বিষয় জানার আবেদন করছি- আলকাউসারের মার্চ ২০১৬ ঈ. সংখ্যার শিক্ষা পরামর্শবিভাগের নং প্রশ্নের ()-এর উত্তরে বলা হয়েছে, পরিভাষায় مضاعف  শব্দটি ব্যবহৃত হয় এমন সহীহশব্দের জন্য যার মূল হরফের মধ্যে একই হরফ তাকরার হয়।

এই হিসাবে حي শব্দটিকে লাফিফবলা হয়েছে মুযাআফবলা হয়নি। কিন্তু ইলমুস সিগাহ কিতাবে বাবে সুওয়াম-এর ২য় ফছলের কিসমে চাহারাম-এর বাবুত্তাফাঊল-এর গরদানের আলোচনায় التحيِيَة-কে التحِيَّة করা হয়েছে। লাফীফ-এর আইন কালিমায় তালীল হয় না। এটা সত্ত্বেও মুযাআফ হিসেবে عين كلمة-এর হরকতকে ফা-কালেমাতে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে শব্দটিকে لفيف-এর সাথে مضاعف বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

সুতরাং التحِيَّة শব্দটি حرف صحيح না হওয়া সত্ত্বেও কি مضاعف হবে? না لفيف হবে? বিষয়টির ব্যাখ্যা জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।


উত্তর

দেখুন মূলত মুযাআফ’ এবং মুতাল’ শব্দের মাঝে কোনো বৈপরিত্য নেই। মুযায়াফ’ শব্দের সারকথা হলশব্দের যে মূল মাদ্দা রয়েছে তাতে কোনো হরফের তাকরার ও পুনরুক্তি থাকা। পুনরুক্ত হরফটি যেমন হরফে ইল্লত হতে পারে তেমনি অন্য কোনো হরফে সহীহও হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলসরফের মুসান্নিফদের পরিভাষায় মুযায়াফ’ শব্দটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে?

মশহুর পরিভাষা হলযে শব্দে হরফে সহীহ-এর তাকরার হয় তাকে মুযায়াফ’ বলা হয়ে থাকে। আর যে শব্দে হরফে ইল্লতের তাকরার হয় তাকে সাধারণত কেবল লাফিফ’ নামে নামকরণ করা হয়। কিন্তু কোনো কোনো মুসান্নিফের পরিভাষায় মুযায়াফ’ শব্দটি আরেকটু ব্যাপক। হরফে সহীহ ও হরফে ইল্লত উভয়ের তাকরারের ক্ষেত্রেই মুযায়াফ শব্দটি ব্যবহারকরে থাকেন।  হল নাম বা পরিভাষার কেবল প্রয়োগিক বৈচিত্র্যবৈপরীত্য নয়। একারণেই তো বলা হয় لا مشاحة في الاصطلاح

শেয়ার লিংক

আবুল ফারাহ - মোহাম্মাদপুর, ঢাকা

প্রশ্ন

ক : মুহতারাম! আমি দুই বছর আগে হেদায়াতুন্নাহু কিতাবটি পড়েছি। এখন দুই বছর পরে দেখছি, কিতাবটির অনেক কায়দাই আমার মনে নেই। সব কায়দা যাতে সহজেই মনে রাখতে পারি এজন্য আমি কী পদ্ধতি অনুসরণ করবো?

খ : একালে মানতেক শাস্ত্র পড়ার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু এবং কী পরিমাণ পড়া যথেষ্ট? আর এ বিষয়ে নিজে নিজে মুতালাআ করতে চাইলে আমি আরবী ও উর্দূ ভাষায় সহজ কোন কিতাব পড়তে পারি? আল্লাহ তাআলা হযরতকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।


উত্তর

(ক) : মুতালাআর একটি প্রকার  হচ্ছে ইলম তাজা রাখার উদ্দেশ্যে মুতালাআ। তাই কোনো বিষয় দরসে পড়ার পরও সেই বিষয়ের বুনিয়াদি কাওয়ায়েদ ও মাসায়েল মনে রাখার জন্য ঐ বিষয়ের কোনো একটি মতনকে ইলমী যিন্দেগীর সঙ্গীরূপে সাথে রাখা প্রয়োজন হয়। তো আপনিও নাহবের কাওয়ায়েদ ও মাসায়েলের ইয়াদকে তাজা রাখার জন্যহেদায়াতুন্নাহু’ কিতাবটি মাঝেমধ্যে সুযোগ মতো মুতালাআ করে নিতে পারেন। পূর্ণ কিতাব কিংবা যে অংশটি আপনার ইয়াদ নেই অথবা যে অংশটি আপনার কাছে তুলনামূলক জটিল বলে মনে হয় সে অংশটি বারবার মুতালাআ করা। আর যখনই যে কায়দা বা মাসআলার ব্যাপারে সন্দেহ দেখা দেয় তখনই তা কিতাব খুলে দেখে নেয়াকেবল ধারণার উপর নির্ভর না করা। এছাড়া আপনি যখন আরবী কিতাবাদি পড়বেন তখন তাতে নাহবের কায়দা-কানুন খুব যতœ সহকারে সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন। এভাবেই ইনশাআল্লাহ নাহবের ইলম তাজা থাকবে।

(খ) এ সম্পর্কে একাধিকবার শিক্ষার্থীর পাতায় লেখা হয়েছে। এজন্য আপনি তালিবানে ইলম : পথ ও পাথেয়’ বইটি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নোত্তর পড়ে নিতে পারেন। দেখুনএ যামানায় মানতেক শাস্ত্র সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা এবং এর কাওয়ায়েদ ও পরিভাষাসমূহ স্পষ্টভাবে বুঝে নেওয়াই যথেষ্ট। আর এর জন্য এ বিষয়ের কোনো একটি কিতাব মুতালাআও যথেষ্ট হতে পারে। এজন্য আপনি মুতালাআ করতে পারেন উর্দূ ভাষায় মাওলানা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (দা. বা.)-কৃত আসান মানতিকযা মূলত তাইসীরুল মানতিক’-এর পরিমার্জিত সংস্করণ। আর আরবী ভাষায় তালখীসুল মিরকাত’ যা হযরত থানবী রাহ. রচিত আত্তালখীছাতুল আশ্র’ কিতাবের প্রথম রিসালা- সেটিও মুতালাআ করতে পারেন। 

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ জহীরুল ইসলাম - মদীনাতুল উলূম মাদরাসা, নোয়াখালী

প্রশ্ন

হযরতের নিকট নিম্নোক্ত সমস্যাগুলোর সমাধান কামনা করছি।

ক. নূরুল আনওয়ারের ৩৯-৪০ পৃষ্ঠায় احتياطا  দ্বারা দুটো হুকুম ওয়াজিব সাব্যস্ত করা হয়েছে। তদ্রূপভাবে শরহে বিকায়া ছানীর ৩৪ পৃষ্ঠায় تجب العدة احتياطا আছে। এখন অধমের জিজ্ঞাসা হল, ওয়াজিব সাধারণত সাব্যস্ত হয় দলীলে যন্নী দ্বারা। তাহলে "احتياطا" দ্বারা কীভাবে ওয়াজিব সাব্যস্ত হবে?

. যদি احتياطا দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় তাহলে শুধু কি عبادة مقصودة-এর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ না কী?

. নূরুল আনওয়ারের তিন নাম্বার পৃষ্ঠার ১নং হাশিয়াতে লিখা আছে- "قال في

نتائج الأفكار ناقلا عن غاية البيان" কওলের কায়েল কে? এবং نتائج الأفكار কিতাব হলে তার পরিচিতি জানতে চাচ্ছি।


 

উত্তর

(-) الفقه المجرد হল সংক্ষিপ্ততার জন্য দলীল-প্রমাণ উল্লেখ ছাড়া শুধু ফিকহী হুকুম বয়ান করা। মুতুনের কিতাবগুলো প্রকারের অন্তর্ভূক্ত। যেমন মুখতাসারুল কারখী, মুখতাসারুত তহাবী, মুখতাসারুল কুদূরী ইত্যাদি। الفقه المدلل হল ফিকহী মাসায়েল দলীল-প্রমাণ উল্লেখসহ আলোচনা করা। আর الفقه المقارن হল কোনো ফিকহী মাসআলায় দলীল-প্রমাণের আলোকে ফুকাহায়ে কেরামের বিভিন্ন মাযহাবের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। ধরনের কিছু কিতাব যেমন ইমাম মুহাম্মাদ রাহ.-এর কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদীনাহ, ইমাম কুদূরীর আত তাজরীদ এবং শরহু মুখতাসারিল কুদূরী। আবু বকর রাযী আল জাস্সাস-এর শরহু মুখতাসারিত তহাবী, হেদায়া এবং বাদায়েউস সানায়ে ইত্যাদি।

() এটি আধুনিক উসলূবের মুতাওয়াসসিত স্তরের ফিকহে মুদাল্লালের কিতাব। দরসে নেযামীর শরহে বেকায়া কিতাবটি যে স্তরে পড়ানো হয় সে স্তরের কিতাব এটি। কিতাবটি সহজ মুফীদ, তবে তাতে তাহকীক ইতকানের কিছু অভাব রয়েছে।

() এজন্য তো আল ফিকহুল মুদাল্লাল এবং আল ফিকহুল মুকারান-এর কিতাবসমূহের উযহিয়াঅধ্যায় দেখতে পারেন। এছাড়া ইলাউস সুনানকিতাব থেকেও উযহিয়াঅধ্যায়টি মুতালাআ করতে পারেন।

 


শেয়ার লিংক

মুরশিদুল আলম - তারাগঞ্জ, রংপুর

প্রশ্ন

আমি শিক্ষা পরামর্শবিভাগের একজন নিয়মিত পাঠক। আমি এই বিভাগের প্রশ্ন-উত্তরগুলো পাঠ করে ছাত্রজীবনের অনেক সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই। তাই আমি আপনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। তবে আপনাদের কাছে আমার একটি বিশেষ অনুরোধ, এই বিভাগের পাতা আরও বৃদ্ধি করা হোক।

এই পত্রে আমি আপনাদের কাছে দুটি প্রশ্ন রাখলাম। দয়া করে প্রশ্ন দুটির উত্তর দিয়ে আমাকে চিন্তামুক্ত করবেন।

(ক) আমি যেহেতু একজন কওমী মাদরাসার ছাত্র সেহেতু আমার অন্তরে উর্দূ ভাষা সম্পর্কে একটি প্রশ্ন উদয় হয় যে, কওমী মসাদরাসার দরসে উর্দূ ভাষার প্রতি এত গুরুত্বারোপ কেন, যেমনটি বাংলা ভাষার প্রতি নেই। তবে ঢাকা ও ঢাকা প্রতিবেশী জেলাগুলির কওমী মাদরাসাগুলোতে বাংলা ভাষার প্রতিও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমার জানার বিষয় হল, উর্দূ ভাষার প্রতি কওমী মাদরাসাগুলোতে এত আসক্তি কেন?

(খ) অনেকেই তাবলীগ জামাতের বিরোধিতা করে বলে যে, তারা তরবারির জিহাদ করে না শুধু নফসের জিহাদ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারির জিহাদও করেছেন এবং তার প্রতি উম্মতকে উৎসাহ দিয়েছেন। এখন আমি আপনাদের কাছে উক্ত প্রশ্নের জবাব চাই। দয়া করে উত্তর জানিয়ে আমাকে বাধিত করবেন।


উত্তর

(ক) মেরে ভাই! উর্দূ ভাষায় তো অনেক দিন ধরে দ্বীনী কিতাবাদির এক বিশাল ভাণ্ডার গড়ে উঠেছে। কুরআনে কারীমের তরজমা ও তাফসীরহাদীসের তরজমা ও তাশরীহ,ফিকহ ও ফতোয়াসীরাত ও তারীখমালফুজাতমাকতুবাতখুতুবাতবিভিন্ন ইলম ও ফনের বুনিয়াদি কিছু কিতাব এবং দ্বীনী রাসায়েলের এক বিশাল ভাণ্ডার। এসব রচনাবলী এই উপমহাদেশের মুসলমানদের মৌরুসী সম্পদ। এসব থেকে উপকৃত হতে হলে উর্দূ ভাষা জানার প্রয়োজন রয়েছে। এ কারণে এদেশের আহলে ইলমগণ উর্দূ ভাষা থেকে বে-নিয়ায হতে পারেন না। এই হচ্ছে উর্দূ ভাষার প্রতি তাঁদের অনুরাগের কারণ।

বলার অপেক্ষা রাখে নাবাংলা আমাদের মাতৃভাষাএ ভাষায় আমরা দৈনন্দিন কথা বলি। এদেশের মানুষের মাঝে দাওয়াতের কাজ করতে হলে বাংলা ভাষায় করতে হবে। এদেশের মানুষের জন্য কুরআনে কারীমের তরজমা ও তাফসীরহাদীসের ব্যাখ্যা এবং দ্বীনী বই-পুস্তক বাংলা ভাষাতেই রচনা করতে হবে। সুতরাং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার প্রতি অবহেলা অবাঞ্ছনীয়। তবে ছাত্রদের জন্য তা হতে হবে উস্তাযের তত্ত্বাবধানে এবং সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায়।

(খ) মেরে দোস্ত! শুধু তাবলীগ জামাতের উপর আপত্তি কেনদ্বীনী খেদমতের নানা অঙ্গনে কর্মরত সকলেই কি শরয়ী জিহাদ আঞ্জাম দিচ্ছেনএছাড়া শরয়ী জিহাদের সকল শর্ত ও ক্ষেত্র পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান আছে কি না তা দেখার কি প্রয়োজন নেইআর তাবলীগ জামাতের তো এমন কোনো উসূল নেই যাতে বলা হায়েছে যেশরয়ী জিহাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে তাবলীগ জামাতের সাথে জড়িত কেউ কেউ যে জিহাদ বিষয়ক আয়াত ও হাদীসকে কোনোরূপ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছাড়াই সরাসরি দাওয়াতের কাজের পক্ষে পেশ করে থাকেন তা গ্রহণযোগ্য নয়।

শেয়ার লিংক