মুনীরুল ইসলাম - যশোর

প্রশ্ন

আল্লাহ পাক হযরতকে নেক হায়াত দান করুন এবং ইলম অনুপাতে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমি ফেকাহ ২য় বর্ষের ছাত্র। হযরতের কাছে কয়েকটি বিষয় জানার আবেদন করছি।

. কুরআন শরীফের তরজমা বাংলায় শেখার জন্য কীভাবে মেহনত করতে পারি।  

. তাদাব্বুরে কুরআন কীভাবে অর্জন করতে পারি।  

. কুরআনুল কারীমের হেদায়েতগুলো বের করার পদ্ধতি কী হতে পারে?

 

 


উত্তর

গত ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় কুরআন তরজমা সংক্রান্ত যে প্রশ্নোত্তর ছাপা হয়েছে তা দেখুন। আর তাদাব্বুরে কুরআন এবং কুরআন থেকে হেদায়েতসমূহ বের করার পদ্ধতি সম্পর্কে কয়েকবছর আগে আলকাউসারের শিক্ষার্থীদের পাতায় রমযান মাসে কুরআন তিলাওয়াত : তালিবানে ইলমের অবলম্বনযোগ্য পদ্ধতিশিরোনামে একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিল। এখন তা আপনি তালিবানে ইলম : পথ পাথেয়কিতাবেও পাবেন।

শেয়ার লিংক

আব্দুল্লাহ আল মামুন - আশরাফুল উলূম মাদরাসা, নেত্রকোণা

প্রশ্ন

 

আমি আগামী বছর জামাতে জালালাইন শরীফ পড়ব ইনশাআল্লাহ। আপনার কাছে আততাখাসসুস ফী উলূমিল হাদীসিশ শারীফপড়তে ভীষণ আগ্রহী। শাইখ মুহিউদ্দীন আওয়ামার মিন সিহাহিল আহাদিসিলি কিসারএক তৃতীয়াংশ হিফজ করেছি। শরহে বেকায়ার সাথে শায়েখ নিমাবী রাহ.-এর আসারুস সুনানঅল্প অল্প মুতালাআ করেছি। এছাড়া হাদীস সম্পর্কিত অন্যান্য কিতাবাদি খুব একটা মুতালাআ করিনি। এখন হযরতের কাছে আমার করণীয় কী জানতে চাচ্ছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

. শায়েখ যাহেদ আলকাউসারী রাহ., শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রাহ., শায়েখ আবদুল্লাহ বিন বায রাহ. প্রমুখ আলেমদের জীবনী তাসনীফাত সম্বলিত একটি প্রবন্ধ আলকাউসারে ছাপা হলে খুব উপকৃত হব।  

. শাইখ নাসীরুদ্দিন আলবানী রাহ. মুহাক্কিক আলেমদের কাছে নির্ভরযোগ্য কি না এবং কেন। জাযাকাল্লাহু খায়রান।  



 

উত্তর

 

() আল্লাহ তাআলা আপনাকে কামিয়াব করুন। দেখুন কোনো ফনের তাখাসসুসের পূর্ব শর্ত হল, কিতাব বোঝার পরিপক্ক যোগ্যতা, ইলমী নিমগ্নতা এর প্রতিবন্ধক সকল বিষয় থেকে মুক্ত থাকা, উদ্দীষ্ট ফনের প্রতি মনের আগ্রহ ফিতরি যওক, সেই ফনের সাথে পরিচয় ঘনিষ্টতা এবং তাকওয়া-তাহারাত। সুতরাং গুণগুলো হাসিল করার চেষ্টা করা একান্ত প্রয়োজন।  

কিতাব বোঝার যোগ্যতা হাসিল হচ্ছে কি না তা নিজ উস্তাযের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখতে হবে এবং তাঁর পরামর্শেই ইলমী সফর জারি রাখতে হবে। আগামী বছর আপনি জালালাইন জামাতে পড়বেন, এরপর মিশকাত দাওরায়ে হাদীসে পড়বেন। তো এসব জামাতের কিতাবাদী কীভাবে পড়বেন এবং সেগুলোর সাথে ইযাফী মুতালাআ কী কী করবেন সে সম্পর্কে কিছু নির্দেশনা তালিবানে ইলম : পথ পাথেয়নামক বইটিতে পেতে পারেন।  

মনে রাখবেন, আপনি কোন্ বিষয়ে তাখাসসুস করবেন, কোথায় ভর্তি হবেন, কী মুতালাআ করবেন, কীভাবে করবেন সবকিছুই আপনার উস্তাযের পরামর্শের উপর মওকূফ।  

() দুআ করুন, ইনশাআল্লাহ আলকাউসারে এই মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে লেখা প্রকাশ করার চেষ্টা করা হবে।  

() ২০০৫-এর আলকাউসারের দুটি সংখ্যায় শায়েখ আলবানী রাহ. সম্পর্কে লেখা হয়েছে।

 

 

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ বুরহানুদ্দীন বিন সা‘দ - জামিয়া মাদানিয়া, ফেনী

প্রশ্ন

 

আল্লাহ হুযুরকে আজীবন সুস্থতার সাথে ইলমে দ্বীনের খেদত আঞ্জাম দেওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন। হুযুর! আমাকে নি¤œ সমস্যাগুলোর সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন। () কুদূরী কিতাবটি কীভাবে পড়লে কিতাবটি পড়ার উদ্দেশ্য অর্জিত হবে?

() আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন যে, আরবী সাহিত্যে মাহারাত অর্জন করবো। কিন্তু আরবী চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় মনটা প্রায় সময় ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে। তাই হুযুরের কাছে বিনীত নিবেদন এই যে, কীভাবে আরবী চর্চা করলে আমি আরবী সাহিত্যে পূর্ণ মাহারাত অর্জন করতে পারবো?

() আমাদেরকে মাওলানা সফিউল্লাহ ফুয়াদ ছাহেব-এর তালীকযুক্ত কাসাসুন নাবিয়্যীন ৩য় ৪র্থ - পড়ানো হয়। কিতাবদ্বয় কীভাবে পড়লে ফায়দা হবে?

() মুজাআফের জন্য হরফে ইল্লত না হওয়া কি শর্ত? حيى   শব্দটি কি মুজাআফ হতে পারে?


 


 

উত্তর

 

 

() মুখতাসারুল কুদূরী রচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে, গুরুত্বপূর্ণ ফিকহী মাসআলাসমূহ বোঝা এবং সেগুলো মুখস্থ করা। তাই কিতাবে আপনার প্রধান কাজ হবে  -   প্রথমে আপনি কিতাব হলকরবেন এবং সুস্পষ্টভাবে কিতাবের মাসআলাগুলো বুঝে নিবেন। এরপর মুযাকারা আলোচনার মাধ্যমে বা খাতায় নোট করে মাসআলাগুলো মুখস্থ করবেন। কিতাবে ব্যবহৃত ফিকহী পরিভাষাসমূহ এবং সেগুলোর অর্থ উদ্দেশ্য যথাযথভাবে বুঝে নিবেন এবং মুখস্থ করবেন। 

মোটকথা, কুদূরীর মাসায়েল পরিভাষা ভালোভাবে বুঝে কণ্ঠস্থ করাই আসল কাজ। এর সাথে ভিন্ন মুতালাআর দরকার নেই। দরসেই উস্তাযের কাছ থেকে মাসআলাসমূহ ভালোভাবে বুঝে নিবেন।  

()  মূল বিষয় হলো, কিতাব বোঝার যোগ্যতা এবং অন্যকে বোঝানো কিতাবের বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের যোগ্যতা। দুটি যোগ্যতা যদি কারো মধ্যে থাকে তাহলে এরপর আরবী সাহিত্যে মাহারাত অর্জনের জন্য প্রয়োজন হবে সাহিত্যের ফিতরি যওক, আরবী সাহিত্যের কিছু গ্রন্থের ইযাফী মুতালাআ। বলা লেখার অনুশীলন এবং আদবী যওকের অধিকারী কোনো ব্যক্তির সোহবত। আরবী আদবের ইযাফী মুতালাআ এবং তামরীন তো আপনি আপনার অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণ অবগত এমন একজন মুশফিক উস্তাযের নেগরানীতে জারি রাখতে পারেন। এরপর যখন সুযোগ হবে তখন উস্তাযের পরামর্শে কোনো আদীবের সোহবতে থেকে ইস্তেফাদা করতে পারেন। আলকাউসারের গত জানুয়ারী সংখ্যায় আরবী সাহিত্য চর্চা : কিছু কথাশিরোনামে যে লেখাটি ছাপা হয়েছে তা থেকেও আপনি আরবী সাহিত্য চর্চার একটি ধারণা পেতে পারেন।

() কাসাসুন নাবিয়্যীনকিতাব কীভাবে পড়তে হবে সে সম্পর্কে কিছু কথা কিতাবের শুরুতে মাওলানা সফীউল্লাহ ফুয়াদ সাহেবের ভূমিকায় রয়েছে। কিতাবের প্রধান উদ্দেশ্য হল, বিশুদ্ধ আরবী পঠন কিতাবে বর্ণিত ঘটনাবলী এবং সেগুলোর শব্দ ভাষা, তাবীর বাকরীতি আত্মস্থ করা। কিতাবটির পঠন-পাঠনের পদ্ধতি সম্পর্কে আলকাউসারের (যিলকদ ১৪৩৬/ সেপ্টেম্বর ২০১৫) শিক্ষার্থীদের পাতায় মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ দামাত বারাকাতুহুম-এর দিকনির্দেশনামূলক লেখা ছাপা হয়েছে, আপনি তা দেখে নিতে পারেন।

() সরফ শাস্ত্রের পরিভাষায় মুজাআফশব্দটি ব্যবহৃত হয় এমন সহীহশব্দের জন্য যার মূল হরফের মধ্যে একই হরফ তাকরার হয়। আর মুতাল’ (হরফে ইল্লত বিশিষ্ট) শব্দের মূল হরফের মধ্যে হরফে ইল্লত যদি তাকরার হয় তবে তাকে পরিভাষায় লাফিফবলা হয়। এখন হরফে ইল্লত দুটি যদি আলাদা আলাদা বসে তবে তাকে বলা হয় লাফিফে মাফরূক যেমন: وقى، وعي আর যদি পাশাপাশি একসাথে বসে তবে তাকে বলা হয় লাফিফে মাকরূন সুতরাং عيّ، حيّ، جوّ এই শব্দগুলোকে পরিভাষায় লাফিফে মাকরূন বলা হয়। দ্রষ্টব্য: আসসরফুল কাফী ৪৪-৪৫ তাইসীরুল সরফ পৃ. ৩১।

 

 

 

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ জাবের হোসাইন - শাহরাস্তি, চাঁদপুর

প্রশ্ন

 

প্রথমে হুযুরের সিহহাত আফিয়াত কামনা করছি। তারপর জানাচ্ছি-

() আমি শরহে বেকায়ার একজন তালিবে ইলম। আমরা জানি সাহাবীগণ রা. মুকতাদা হওয়ার বিষয়টি স্বীকৃত এবং বিষয়ে আমরা অনেককে এই হাদীসটিও পেশ করতে শুনি - 

أصحابي كالنجوم، بأيهم اقتديتم اهتديتم .

 মিশকাত শরীফের كتاب المناقب باب مناقب الصحابة، رقم الحديث ৩০১৭

- এই হাদিসটিকে رواه رزين বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তো হুযুরের কাছে হাদীসের তাখরীজ এবং সনদের মান জানতে চাই।

() রাযীন-কে? তার পরিচয় জানতে আগ্রহী।

() সাহাবাদের মুকতাদা হওয়ার বিষয়ে কিছু নির্ভরযোগ্য মাওয়াদ জানতে চাই। আল্লাহ তাআলা হুযুরের ইলমে, আমলে, আওকাতে এবং সবকিছুতে বরকত দান করুন। আমীন।

 

 

 

উত্তর

 

 

 

() আপনার প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীসটি বিভিন্ন কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। যেমন, মুসনাদু আবদ ইবনু হুমাইদ (হাদীস নং ৭৮৩), গারায়িবু মালিক, দারাকুতনী, মুসনাদুশ শিহাব, কিতাবুস সুন্নাহ আবু যর হারাবী ইত্যাদি। হাদীসটির বিস্তারিত তাখরীজ উদ্ধৃতি জানার জন্য নিম্নের কিতাবগুলো দেখা যেতে পারে।  

. আলবদরুল মুনীর, ইবনুল মুলাক্কিন /৫৮৪-৫৮৮ (কিতাবুল কাযা) 

. আততালখীসুল হাবীর, ইবনু হাজার আসকালানী /১৮৮-৩১৯ (কিতাবুল কাযা) 

. তাখরীজু আহাদিসিল কাশশাফ, যায়লায়ী /২২৯-২৩২ 

আর হাদীসটির সনদের মান এবং হুকুম সম্পর্কে আব্দুল হাই লাখনাবী রাহ. تحفة الأخيار بإحياء سنة سيد الأبرار   কিতাবে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করেছেন।  এই রেওয়ায়েতটি বিভিন্ন শব্দে একাধিক সনদে বর্ণিত হয়েছে। তবে সবকটি সনদই যয়ীফ। কিন্তু এর যে মর্ম তা সহীহ সনদে বর্ণিত হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। যেমন আবু মূসা আশআরী রা.-এর সূত্রে বর্ণিত-

النُّجُومُ أَمَنَةٌ لِلسَّمَاءِ، فَإِذَا ذَهَبَتِ النُّجُومُ أَتَى السَّمَاءَ مَا تُوعَدُ، وَأَنَا أَمَنَةٌ لِأَصْحَابِي، فَإِذَا ذَهَبْتُ أَتَى أَصْحَابِي مَا يُوعَدُونَ، وَأَصْحَابِي أَمَنَةٌ لِأُمَّتِي، فَإِذَا ذَهَبَ أَصْحَابِي أَتَى أُمَّتِي مَا يُوعَدُونَ.

--সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৩১

() রযীনহলেন ষষ্ঠ শতকে মালেকী মাযহাবের একজন আলেম। পূর্ণ নাম রযীন ইবনু মুআবিয়া আল-আবদারী। তাঁর জন্মস্থান আন্দালুস, তবে তিনি মক্কা মুকাররমার অভিবাসী ছিলেন। তিনি ৫২৫ হিজরী সনে মক্কায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর জীবনী জানার জন্য দেখা যেতে পারে- আল ইকদুছ ছামীন ফী তারীখিল বালাদিল আমীন, তাকীউদ্দীন ফাসী, /৩৯৮ এবং সিয়ারু আলামিন নুবালা, যাহাবী ২০/২০৪

মিশকাতের মুসান্নিফ উপরোক্ত স্থানে রযীনের যে কিতাবটির প্রতি ইশারা করেছেন সেটি হল, تجريد الصحاح والسنن নামক কিতাব। এতে তিনি সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, সুনানে তিরমিযী, সুনানে আবূ দাউদ , সুনানে নাসায়ী এবং মুয়াত্তা এই ছয় কিতাবে বর্ণিত হাদীসসমূহ সনদ ছাড়া শুধু মতনকে একত্রে সংকলন করেছেন। পূর্বোক্ত ছয় কিতাবের হাদীসসমূহ একত্রে সংক্ষেপে সংকলন করতে গিয়ে রযীন রহ. বিভিন্ন প্রসঙ্গে নিজের থেকে এমন কিছু রেওয়ায়েতও সংযোজন করেছেন যা উপরোক্ত কিতাবগুলোতে নেই। তিনি নিজের সংযোজিত রেওয়াতগুলোকে সাধারণত সনদ বর্ণনা করা ছাড়াই এবং উৎসগ্রন্থের উদ্ধৃতি ছাড়াই উল্লেখ করেছেন। প্রশ্নোক্ত হাদীসটিও রযীন রহ. তাঁর কিতাবে সনদ এবং কিতাবের হওয়ালা ছাড়াই বর্ণনা করেছেন।

রযীন এবং তাঁর কিতাবের পর্যালোচনার জন্য শায়খ আব্দুল ফাত্তাহ আবূ গুদ্দাহ রহ. এর সারগর্ভ আলোচনা পড়ে নিতে পারেন, যা তিনি مبادئ علم الحديث وأصوله কিতাবের ৬৫৭-৬৫৯ নং পৃষ্ঠায় নং হাশিয়ায় লিখেছেন। এটি মূলত হযরত শাব্বির আহমদ উসমানী রহ. রচিত ফতহুল মুলহিম গ্রন্থের মুকাদ্দিমাহ; যা পরবর্তীতে শায়েখ আব্দুল ফাত্তাহ রহ. নিজ তাহকীক তালীকসহ ভিন্নভাবে উপরোক্ত নামে ছেপেছেন।

 () বিষয়ে স্বতন্ত্র অনেক কিতাব রিসালা রয়েছে। এছাড়া আকায়েদ তাফসীর, হাদীস, উসূলে হাদীস, উসূলে ফিকহ এবং সিয়ারুস সালাফ বিষয়ক কিতাবেও বিষয়ের আলোচনা পাওয়া যাবে। আমি এখন কেবল তিনিটি কিতাবের কথা উল্লেখ করছি- . লামুল মুয়াক্কিয়ীন, শায়খ ইবনুল কায়্যিম রাহ.

. মাকামে সাহাবা, মুফতী শফী রাহ.

. শিয়া-সুন্নী ইখতেলাফ আওর সিরাতে মুস্তাকীম, মাওলানা ইউসুফ লুধিয়ানবী রাহ. কিতাবের ইত্তেবায়ে সাহাবা সংক্রান্ত আলোচনা অত্যন্ত বলিষ্ঠ এবং অনন্য সাধারণ।

 

 

 

 

 

শেয়ার লিংক