এনামুল হাসান - উত্তরখান, ঢাকা

৪৩৫১. প্রশ্ন

হুযূর, আমি একটি মসজিদের ক্যাশিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। মসজিদ ফান্ডের লাখ লাখ টাকা আমার কাছে থাকে। আমিই এ টাকাগুলো মসজিদের নামেই ব্যাংকের একটি কারেন্ট একাউন্টে জমা করি এবং প্রয়োজনের সময় উত্তলোন করে খরচ করি। গত কয়েকদিন আগে আমার একটি ব্যক্তিগত কাজে লাখ দেড়েক টাকার প্রয়োজন হয়। তখন আমি শীঘ্রই ফিরিয়ে  দেওয়ার নিয়তে দেড় লাখ টাকা মসজিদের একাউন্ট থেকে উত্তোলন করে খরচ করে ফেলি। জানতে চাচ্ছি, আমার এ কাজটি কি ঠিক হয়েছে? দয়া করে জানালে উপকৃত হব।
 

উত্তর

না, পরবর্তীতে ফেরত দিয়ে দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও মসজিদের টাকা নিজ প্রয়োজনে খরচ করা অন্যায় ও  খেয়ানত হয়েছে। কেননা মসজিদের টাকা আপনার নিকট আমানত। আর আমানতের টাকা থেকে নিজ প্রয়োজনে খরচ করা বা ঋণ নেওয়া জায়েয নয়।

সুতরাং এখন আপনার কর্তব্য হল, যত দ্রুত সম্ভব ঐ টাকা মসজিদ ফান্ডে ফেরত দেওয়া এবং এর জন্য আল্লাহর নিকট তাওবা-এস্তেগফার করা এবং ভবিষ্যতে এমনটি করা থেকে বিরত থাকা।

-ফাতাওয়া খানিয়া ৩/২৯৯; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৫১; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ৪/৮২

শেয়ার লিংক

মনির হোসেন - কুমিল্লা

৪৩৫২. প্রশ্ন

আমাদের ঈদগাহ ঈদের নামাযের পূর্বে ধোয়ামোছা করে নামাযের জন্য প্রস্তুত করা হয়। বাকি পুরো বছর সেখানে মানুষের চলাফেরা, খেলাধুলা, এমনকি কখনো গবাদি পশু বিচরণ করতেও দেখা যায়। এখন প্রশ্ন হল, দাতা কর্তৃক ঈদের নামাযের জন্য ওয়াকফ করার পরও সেখানে বর্ণিত কাজগুলো করার অবকাশ আছে কি না?


 

উত্তর

ঈদগাহ সম্মানিত ও পবিত্র স্থান। ঈদগাহের জন্য ওয়াকফকৃত জায়গা খেলাধুলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। তবে প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ঈদগাহের উপর দিয়ে চলাচল করা জায়েয আছে। আর ঈদগাহ যেহেতু পবিত্র স্থান তাই এর ভেতর কোনো গবাদি পশু চরতে দেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য যে, ঈদগাহের পবিত্রতা নিশ্চিত করার জন্য এলাকাবাসীর উচিত তা সীমানাদেয়াল ইত্যাদির মাধ্যমে ঘেরাও করে হেফাযত করা।

-আলবাহরুর রায়েক ২/৩৬; শরহুল মুনয়া পৃ. ৬১৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২৭; রদ্দুল মুহতার ১/৬৫৭

শেয়ার লিংক

আবদুল্লাহ - নোয়াখালী

৪৩৫৩. প্রশ্ন

আমাদের মসজিদের দেয়ালে ‘মসজিদে দুনিয়াবী কথা হারাম’ বাক্যটি টাইলসে খোদাই করে লাগানো। এখন প্রশ্ন হল, নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়ার পর কখনো দুনিয়াবী কথাবার্তাও হয়ে যায়। তখনো কি হারাম হবে?
 

উত্তর

প্রশ্নোক্ত কথাটি ব্যাপকভাবে বলা ঠিক নয়। নামায বা ইবাদতের উদ্দেশ্যে মসজিদে প্রবেশের পর অন্যের ইবাদতে অসুবিধা না হলে প্রয়োজনে দুনিয়াবী বৈধ কথাবার্তা বলা জায়েয আছে। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে, মসজিদ আল্লাহর ঘর। এটি ইবাদতের স্থান। এর প্রতিষ্ঠাই হয়েছে ইবাদতের উদ্দেশ্যে। সুতরাং মসজিদে অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা ও কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, দুনিয়াবী কোন কাজকর্ম বা কথাবার্তাকে উদ্দেশ্য করে মসজিদে গমন করা কিংবা মসজিদে এর আয়োজন করা নাজায়েয। 

 

-সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৫৭; উমদাতুল কারী ৪/২২৯; আলবাহরুর রায়েক ২/৩৬; রদ্দুল মুহতার ১/৬৬২

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ জুবায়ের - যাত্রাবাড়ি, ঢাকা

৪৩৫৪. প্রশ্ন

আমার চাচাতো ভাইয়ের একটি কাপড়ের দোকান আছে। বছর খানেক আগে সেখানে বিনিয়োগের জন্য তাকে দুই লাখ টাকা দিয়েছিলাম। সে বলেছিল, প্রতি মাসে দুই-আড়াই হাজার টাকা করে দিবে। আর বছর শেষে যখন হিসাব হবে তখন চূড়ান্ত হিসাব করে লভ্যাংশ উভয়ে বণ্টন করে নেব। তবে কোনো অংশ উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে। এভাবে চুক্তি করা বৈধ হল কি না। আর আমি যে লাভ গ্রহণ করছি তা গ্রহণ করা জায়েয হচ্ছে কি না? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।

 

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে লভ্যাংশের হার নির্ধারণ করা জরুরি ছিল। এখন আপনাদের কর্তব্য, বিগত দিনের জন্য আপনার বিনিয়োগকৃত টাকার লভ্যাংশ অর্ধার্ধি (অর্থাৎ ৫০% হারে) ভাগ করে নেয়া। আর সামনের জন্য লভ্যাংশের হার আলোচনা করে ঠিক করে নেবেন। সেটা ৫০% করেও হতে পারে অথবা কম-বেশিও হতে পারে। আর বিনিয়োগকারীকে প্রতি মাসে লভ্যাংশ থেকে কিছু কিছু করে দেওয়া অতপর মেয়াদ শেষে হিসাব করে তা সমন্বয় করে নেওয়া জায়েয আছে। এতে অসুবিধা নেই।

-বাদায়েউস সনায়ে ৫/১১১; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১৪০; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়্যা, মাদ্দা : ১৪১১; শরহুল মাজাল্লাহ ৪/৩৩২

শেয়ার লিংক

ফাহীম সিদ্দীক - বাড্ডা, ঢাকা

৪৩৫৫. প্রশ্ন

আমাদের বাড়িতে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য একটি জেনারেটর ভাড়ায় আনা হয়। কথা ছিল, দুপুর থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত জেনারেটর চলবে। কিন্তু সন্ধ্যার একটু পরে জেনারেটরটি নষ্ট হয়ে যায়। তখন আমরা তাড়াহুড়া করে বেশি ভাড়া দিয়ে অন্য একটি জেনারেটর ভাড়া নেই। এখন পূর্বের জেনারেটরের মালিক বলছে, তাকে পূর্ণ ভাড়ার চেয়ে সামান্য কম দিতে। জানতে চাই, শরীয়তের দৃষ্টিতে এক্ষেত্রে তার ভাড়ার হিসাব কীভাবে করতে হবে?

 

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে পূর্বের জেনারেটরটি যতটুকু সময় ব্যবহার উপযোগী ছিল ততটুকু সময়েরই ভাড়া তার প্রাপ্য। এর অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা তার জন্য বৈধ হবে না।

-আলমুহীতুল বুরহানী ১১/২২৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৪১৩; শরহুল মাজাল্লাহ ২/৫৫৪

শেয়ার লিংক

ইসমাঈল হক - লালমনিরহাট

৪৩৫৬. প্রশ্ন

বাজারে আমার মুদী ও কাপড়ের ব্যবসা আছে। আমার এক আত্মীয় গত এক মাস আগে বিদেশ যাওয়ার সময় আমাকে দুই লাখ টাকা দেয়- আমার ব্যবসাতে লাভ-লস সমান অংশীদারীর ভিত্তিতে খাটানোর জন্য।

কিন্তু আমার উক্ত ব্যবসাদুটির বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে আরো পুঁজি বিনিয়োগ করা উচিত হবে বলে মনে হয় না। তাই আমি চাচ্ছিলাম আমার ঐ আত্মীয়কে না জানিয়ে তার টাকা দিয়ে জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য। অতপর ফসল মাড়াই করে বিক্রি করে লাভ-লস বণ্টন করার জন্য। আর সে তো লাভের জন্যই দিয়েছে।

জানতে চাচ্ছি, এভাবে টাকা খাটানোতে কোনো সমস্যা আছে কি?

 

উত্তর

না, মালিককে না জানিয়ে ঐ টাকা ভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা জায়েয হবে না। কারণ প্রশ্নের বর্ণনামতে তিনি টাকা দিয়েছেন আপনার বর্তমান মুদী ও কাপড়ের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য। জমি ভাড়া নিয়ে চাষাবাদ করার জন্য নয়। তবে লোকটি অনুমতি দিলে তার টাকা দিয়ে জমি ভাড়া নিয়ে উক্ত ব্যবসা করতে পারবেন। অতপর যা লাভ হবে তা উভয়ের মাঝে চুক্তি অনুযায়ী বণ্টিত হবে।

-শরহুল মাজাল্লাহ, খালিদ আতাসী ৪/৩৪৩; কুররাতু উয়ূনিল আখয়ার ৮/২৮৯

শেয়ার লিংক

আলী মুরতাযা - তালুক দুলালী, লালমনিরহাট

৪৩৫৭. প্রশ্ন

আমার এক আত্মীয়ের একটি রাইসমিল আছে। তাতে নতুন কিছু মেশিনারিজ কেনার জন্য ১,৩০,০০০/- টাকার প্রয়োজন। সে আমার সাথে এভাবে চুক্তি করতে চাচ্ছে যে, আমি তাকে ঐ টাকা দিলে সে প্রতি মাসে আমাকে ১৭০০/- টাকা লাভ দিবে। এর পর বাকি লাভ যা থাকবে ছয়মাস পর পর হিসাব করে বণ্টন হবে। তখন লাভের পরিমাণ দেখে ইনসাফের ভিত্তিতে শতকরা হারে একটি পরিমাণ নির্ধারণ করে বাকি লাভ নেওয়া হবে।

একজন বললেন, এভাবে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট আকারে লাভ নেওয়া হলে বাকি বিনিয়োগটি জায়েয হবে না। কিন্তু আমার আত্মীয়ের কথা হল প্রতি মাসে একটি অংক নিলেও ৬ মাস পর বাকি লাভ যেহেতু শতকরা হারে বণ্টিত হচ্ছে তাই কোনো সমস্যা নেই।

মুফতী সাহেবের নিকট জানতে চাচ্ছি, উপরে বর্ণিত নিয়মে কি আমি  বিনিয়োগটি করতে পারব?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী মাসে ১৭০০ টাকা নির্দিষ্ট করে নিবে এ শর্ত করলে উক্ত চুক্তি নাজায়েয হয়ে যাবে। পরবর্তীতে বাকি লাভ শতকরা হারে বণ্টিত হলেও তা জায়েয হবে না। কারণ লাভের একটা অংক কোনো পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট করা হলেই সেই লেনদেন নাজায়েয হয়ে যায়।

অতএব বিনিয়োগটি সহীহভাবে করতে চাইলে কারো জন্য কোনো অংক নির্ধারণ না করে শুরু থেকেই চুক্তির সময়ই লভ্যাংশের হার নির্ধারণ করে নিতে হবে। যেমন বিনিয়োগকারী ৬০% মিলমালিকের ৪০%। অথবা এ ধরনের অন্য কোনো পরিমাণ।

উল্লেখ্য, উপরোক্ত সহীহ পন্থায় চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ব্যবসার চূড়ান্ত হিসাব হওয়ার পূর্বে অন্তর্বর্তিকালীন কিছু টাকা অগ্রিম লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীকে দেয়া যাবে। যা চূড়ান্ত হিসাবের পর সমন্বয় করে নিতে হবে।

-আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৬; মাজাল্লতুল আহকামিল আদলিয়্যা, মাদ্দা : ১৪১১; আলমাবসূত, সারাখসী ২২/২৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৭; আলমাআয়ীরুশ শারইয়্যাহ পৃ. ২৪০

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ হাসান - উত্তরখান, ঢাকা

৪৩৫৮. প্রশ্ন

হুযূর! আমি ও আমার ছেলেমেয়েরা পাখি পছন্দ করি। তাই লালন পালন করে পোষ মানানোর জন্য ও কথা শেখানোর জন্য একটি পাখি ক্রয় করেছি। এটাকে আমি খাঁচায় বন্দি করে রাখি এবং নিয়মিত খাবার দেই। একজন এটা দেখে বললেন, কোনো প্রাণীকে এভাবে খাচায় বন্দি করে রাখা উচিত নয়। এতে প্রাণীর কষ্ট হয়। তাই জানতে চাচ্ছি, এভাবে খাচাবন্দি করে পাখি লালন-পালন করার বিধান কী? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
 

উত্তর

যেসব পাখি খাচাতেই জন্মায় এবং এখানেই বড় হয় অর্থাৎ (উড়া পাখি নিয়ে এসে বন্দি করা হয়েছে এমন নয়) এসব পালিত পাখিকে নিয়মিত খাবার পানি ও চিকিৎসা দিয়ে সুন্দরভাবে পরিচর্যা করতে পারলে খাচায় রেখে লালন-পালন করা জায়েয হবে। কিছু সাহাবী থেকে খাচায় পাখি লালন-পালন করা প্রমাণিত রয়েছে। হযরত হিশাম ইবনে উরওয়া রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

كَانَ ابْنُ الزّبَيْرِ بِمَكّةَ وَأَصْحَابُ النّبِيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَحْمِلُونَ الطّيْرَ فِي الْأَقْفَاصِ.

আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রা. মক্কায় ছিলেন। তখন সাহাবীগণ খাচায় পাখি রাখতেন। (আল আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ৩৮৩)

কিন্তু এক্ষেত্রে যথাযথ পরিচর্যা করতে হবে। পরিচর্যা করতে না পারলে অথবা বন্দি করে রাখার কারণে কষ্ট পেলে খাচায় আটকে রাখা জায়েয হবে না। বরং ছেড়ে দিতে হবে।

প্রকাশ থাকে যে, বাইরে উড়ে বেড়ায় এমন পাখিকে খাঁচায় বন্দী করলে তাদের কষ্ট হতে পারে। তাই এ ধরনের পাখি খাঁচায় বন্দী না করাই উচিত।

-সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২০৩; ফাতহুল বারী ১০/৬০১; ফাতাওয়া কারিইল হেদায়া পৃ. ২০০; রদ্দুল মুহতার ৬/৪০১

শেয়ার লিংক

রায়হান মাহমুদ - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত

৪৩৫৯. প্রশ্ন

আমরা ৭ জন ছাত্র একটি ফ্ল্যাটে দুইটি রুম নিয়ে থাকি। এক রুমে তিনজন মুসলমান। অন্যরুমে ৪ জন হিন্দু ছাত্র থাকে। মেসে সবাইকে বাজার করতে হয়।

জানতে চাই, এক্ষেত্রে তাদের সাথে আমাদের চলাফেরা ও খাওয়ার কী হুকুম হবে? তা জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

মুসলামানদের কর্তব্য হল, সৎ ও নেককার মুসলমানদের সাথেই চলাফেরা করা। কুরআন ও হাদীসে এ ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে পড়াশুনা, চাকরী ও ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি প্রয়োজনে অমুসলিমদের সাথে একত্রে অবস্থানের প্রয়োজন হলে তাদের সাথে প্রতিবেশী সুলভ সাধারণ সৌজন্য সম্পর্ক রাখবে। এবং একত্রে অবস্থানের ক্ষেত্রে নি¤েœাক্ত বিষয়াদির প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ রাখবে :

ক. তাদের সাথে বেশি ঘনিষ্ঠতা ও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক করা যাবে না।

খ. সবসময় নিজের ঈমান ও ইসলামের স্বাতন্ত্র্য ও স্বকীয়তার প্রতি পূর্ণ যত্নবান থাকবে।

গ. তাদের ধর্মীয় কোনো উৎসবে কিংবা তাদের বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে না।

ঘ. জীবনাচারের ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব বেশভূষা ও কৃষ্টিকালচারের অনুসরণ থেকে বিরত থাকতে হবে।

আর তাদের কেনা হালাল খাবার খেতে অসুবিধা নেই। তবে তাদের জবাইকৃত কোনো প্রাণীর গোশত খাওয়া যাবে না। এমনিভাবে তাদের প্রস্তুতকৃত কোনো খাবারে নাপাকির আশঙ্কা থাকলে তা খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।

-সূরা মায়েদা (৫): ৫৭; সূরা আলে ইমরান (৩) : ১১৮; আলজামে লিআহকামিল কুরআন, কুরতুবী ৪/১২২; শরহুস সিয়ারিল কাবীর ১/১০৩; ফাতাওয়া সিরাজিয়্যা পৃ. ৭৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৬৮

শেয়ার লিংক