সফর ১৪৪১ || অক্টোবর ২০১৯

ইবনু আব্দিল খালিক - ঢাকা

প্রশ্ন

প্রশ্ন :  فقه اللغة কিতাবটি থেকে ইস্তেফাদা করার পদ্ধতি কী? এবং এ কিতাব থেকে শব্দসমূহ আয়ত্ত করার উপায় কী? আশা করি জানিয়ে উপকৃত করবেন। জাযাকাল্লাহু খাইরান!

উত্তর

‘ফিকহুল লুগাহ’ বলতে আপনি সম্ভবত ইমাম ছা‘লাবী রাহ.-এর  فقه اللغة

وأسرار العربية বুঝিয়েছেন। কিতাবটি প্রধান দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমভাগে ত্রিশটি বিষয়ভিত্তিক অধ্যায় রয়েছে। এতে তিনি আরবী শব্দসম্ভার হতে বিভিন্ন বিষয়ে (الأشباه والنظائر) তথা সমার্থক শব্দ বা কাছাকাছি অর্থ বিশিষ্ট শব্দ একত্রে সংকলন করেছেন। তবে এটি নিছক একটি সমার্থক শব্দকোষ নয়; বরং সাধারণ দৃষ্টিতে ‘মুরাদিফ’ ও ‘মুতাকারিব’ হিসেবে পরিগণিত শব্দসমূহের মধ্যে যে সূক্ষ্ম অর্থগত বা ব্যবহারগত পার্থক্য (الفروق) রয়েছে তাও ইহতেমামের সাথে এতে উল্লেখিত হয়েছে। তদ্রƒপ এতে কোনো বিষয়ের বা কোনো ভাব ও মর্মের যে বিভিন্ন অবস্থা ও বিভিন্ন স্তর ও পর্যায় রয়েছে তা ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রত্যেক অবস্থা ও প্রত্যেক পর্যায়ের জন্য খাস খাস উপযোগী শব্দ নির্দেশ করা হয়েছে। এসব ‘ফিকহুল লুগাহ’-এর অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আপনি প্রথম পর্যায়ে কিতাবটি আগাগোড়া এক-দু’বার বুঝে বুঝে পড়–ন এবং এর মাকসাদ ও উসলূবের সাথে পরিচিত হোন। দ্বিতীয় পর্যায়ে  পূর্বোক্ত বিষয়াবলির প্রতি লক্ষ্য রেখে বিষয়ভিত্তিক শব্দসম্ভার হিফজ করার চেষ্টা করুন। সবক’টি অধ্যায় হিফজ করতে পারলে ভালো। আর তা সম্ভব না হলে কোনো কোনো অধ্যায় তো পুরোটাই হিফজ করা দরকার, যেমন প্রথম অধ্যায় باب الكليات আর যে অধ্যায় পুরোটা হিফজ করা সম্ভব হবে না, তার নির্বাচিত অংশ হিফজ করুন। তারপর পঠিত ও হিফজকৃত শব্দসমূহ আরবী বলা ও লেখায় অনুশীলন করতে থাকুন। তাছাড়া কিতাবটি যদি দীর্ঘদিন মুতালাআয় রাখা হয়; বুঝে বুঝে বার বার মুতালাআ করা হয় এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে যেমন কোনো আরবী মাযমূন লেখার সময় এর মুরাজাআত করা হয় তাহলেও এটি আরবী ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় খুবই মুফীদ হবে, ইনশাআল্লাহ।

কিতাবের দ্বিতীয় ভাগ হল أسرار العربية সম্পর্কে অর্থাৎ আরবী শব্দ ও বাক্যের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং বিভিন্ন ধরনের আরবী বাকরীতি সম্পর্কে উসূলী আলোচনা, যার বেশিরভাগই মূলত ইমামুল লুগাহ আহমদ ইবনু ফারিস (ওফাত : ৩৯৫ হি.)-এর  الصاحبي في فقه اللغة العربية ومسائلها وسنن العرب في كلامها থেকে নকল। এই অংশটি আপনি বার বার মুতালাআর মাধ্যমে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে পারেন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে তাওফীক দান করুন- আমীন।

এই সংখ্যার অন্যান্য শিক্ষা পরামর্শসমূহ পড়ুন