শাওয়াল ১৪৪৫   ||   এপ্রিল ২০২৪

আনওয়ারুল কুরআন ॥
প্রশ্নোত্তর

আনওয়ারুল কুরআন বিভাগের সর্বশেষ শিরোনাম প্রশ্নোত্তর এর অধীনে প্রত্যেক সংখ্যায় ইনশাআল্লাহ তিন থেকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে। সংক্ষেপের জন্য প্রশ্নকারীর নাম-পরিচয় অনুল্লেখ থাকবে।

 

প্রশ্ন ১০০. হুযুর, আমার প্রশ্ন হল, আপনাদের পত্রিকায় বিভিন্ন সময় জামালুল কুররা ওয়া কামালুল ইকরানামে একটি কিতাবের হাওয়ালা দেখেছি। আমি এ কিতাবটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।

উত্তর : جمال القرّاء وكمال الإقراء  (জামালুল কুররা ওয়া কামালুল ইকরা) কিতাবটি উলূমুল কুরআন এবং ইলমুল কিরাআতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও খুবই উপকারী একটি মৌলিক কিতাব। এ কিতাবের মুসান্নিফ আলী ইবনে মুহাম্মাদ আলামুদ্দীন সাখাভী রাহ. (জন্ম : ৫৫৮ হি.-মৃত্যু : ৬৪৩ হি.)। আলামুদ্দীন সাখাভী রাহ. ইলমুল কিরাআতের ইমাম ছিলেন। তিনি ইমাম আবু মুহাম্মাদ শাতেবী রাহ.-এর কাছে ইলমুল কিরাআত শিখেছেন।

জামালুল কুররা কিতাবে আলামুদ্দীন সাখাভী রাহ. উলূমুল কুরআন এবং ইলমুল কিরাআতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ কিতাবের গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তারিত কয়েকটি অধ্যায় হল-

(১)  نَثْر الدُّرَر في ذكر الآيات والسور.

(২) منازل الإجلال والتعظيم في فضائل القرآن العظيم.

(৩)  أقوى العُدَد في معرفة العَدد.

(৪)  الطَّوْد الراسخ في المنسوخ والناسخ.

(৫)  منهاج التوفيق إلى معرفة التجويد والتحقيق.

(৬)  عَلَم الاهتداء في معرفة الوقف والابتداء.

অধ্যায়গুলোর নাম থেকেই সেগুলোর আলোচ্য বিষয় স্পষ্ট। এগুলো ছাড়া এ কিতাবে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে। এর পরবর্তী সময়ে লেখা বহু কিতাবের মুসান্নিফগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ কিতাব থেকে উদ্ধৃতি গ্রহণ করেছেন। তালিবে ইলম ভাইদের জন্য কিতাবটি খুবই উপকারী। মাকতাবাতুত তুরাছ (মক্কা মুকাররমা), প্রথম সংস্করণ : ১৪০৮ হি., দারুল মামূন (বাইরুত), প্রথম সংস্করণ : ১৪১৮ হি.-সহ একাধিক মাকতাবা থেকে কিতাবটি প্রকাশিত হয়েছে।

 

প্রশ্ন ১০১. মৃত্যু-পরবর্তী বারযাখের জগৎ’-এর কথা শুনেছি। এর মানে কী?

উত্তর : বারযাখঅর্থ দুটি জিনিসের মধ্যে অন্তরায়। কুরআন কারীমে মৃত্যু-পরবর্তী সময়ের ব্যাপারে বলা হয়েছে-

وَ مِنْ وَّرَآىِٕهِمْ بَرْزَخٌ اِلٰی یَوْمِ یُبْعَثُوْنَ.

তাদের (অর্থাৎ মৃতদের) সামনে রয়েছে বারযাখ’, যা তাদেরকে পুনরুত্থিত করার দিন পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। -সূরা মুমিনূন (২৩) : ১০০

মৃত্যুর পর থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির অবস্থান ও সময়কালকে বারযাখ বা বারযাখের জগৎবলে। উক্ত আয়াতের ভাষ্য হল, মৃতদেরকে বলা হবে, মৃত্যুর পর এখন আর তোমাদের দুনিয়ায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। কেননা তোমাদের সামনে রয়েছে বারযাখের বাধা। এ বাধা কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে। (দ্র. সংশ্লিষ্ট আয়াতের তাফসীর; তাফসীরে কুরতুবী, তাফসীরে ইবনে কাসীর) 

 

 

advertisement