রজব ১৪৩৬   ||   মে ২০১৫

বাতি! আলো দাও

ইবনে আবদুল খালেক

 আমার বাসা যে গলিতে সে গলির প্রায় প্রতিটি শিশু সালাম দেয়। নিষ্পাপ শিশুদের মুখের সালাম ‏‏শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। ওরা একরকম প্রতিযোগিতা করে সালাম দেয়; কার আগে কে সালাম দিবে। আমি প্রত্যেকেরই জবাব দিতে চেষ্টা করি। তাতে ওরা খুশি হয় এবং পরবর্তীতে সালাম দিতে উৎসাহিত হয়। কখনো কখনো আমি আগে সালাম দিতে চেষ্টা করি। পরবর্তীতে ওরা আমাকে আর আগে সালাম দেয়ার সুযোগ দেয় না।

ওরা স্পষ্ট উচ্চারণে সালাম দেয়। সাধারণত শিশুরা শুনে শুনে অস্পষ্ট উচ্চারণেই সালাম দিয়ে থাকে, কিন্তু ওরা ব্যতিক্রম। একেবারে স্পষ্ট উচ্চারণে মাখরাজ আদায় করে সালাম দেয়। আমি ভাবি এত স্পষ্ট উচ্চারণে এত সুন্দর করে সালাম দেয়া ওরা শিখল কীভাবে!

প্রথম প্রথম আমি বিষয়টি বুঝতাম না। পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম, ওই গলিতে একজন বড় আলেমেদ্বীনের বাসা আছে, ওরা সবাই ওখানে কুরআন শরীফ পড়ে, মাসনূন দুআ শিখে, নবীজীর সুন্নত শিখে। আর সেখান থেকেই ওরা এত সুন্দর করে সালাম দেয়া শিখেছে।

বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লাগলো এবং চিন্তার নতুন দিগন্ত খুলে দিল। তাইতো! প্রতিটি আলেমের পরিবারই তো হতে পারে দ্বীন শিক্ষার একেকটি কেন্দ্র। এলাকার নারী-শিশুদের দ্বীনী শিক্ষালয়।

প্রতিটি আলেম পরিবার বা দ্বীনদার পরিবার তো তাদের পাড়া-মহল্লার জন্য এক একটি আলোদানকারী বাতি। প্রতিটি মাদরাসা এলাকাবাসীর জন্য দ্বীনের বাতি। প্রত্যেকা আলেম-তালিবুল ইলম তার আশপাশের মানুষের জন্য দ্বীনের বাতি। তাঁদের পরশে মানুষ দ্বীনের আলো পাবে; এর দ্বারা যেমন ইলম ও দ্বীনদারির নিআমতের শুকরিয়া আদায় হবে, তেমনি তা এলাকা-মহল্লার মানুষকে দ্বীনের পথে এগিয়ে দিবে। প্রতিবেশীর হক আদায় হবে।

আল্লাহ প্রতিটি আলেম-তালিবুল ইলম, মাদরাসা, আলেম পরিবার, দ্বীনদার পরিবারকে তাদের পাড়া-মহল্লার জন্য দ্বীনের বাতি হিসেবে কবুল করুন। আমীন 

 

 

advertisement