যিলক্বদ ১৪৩৫   ||   সেপ্টেম্বর ২০১৪

আবার শাহবাগ! এবার তসলিমা!!

ওয়ারিস রব্বানী

পথে। হাতে ব্যানার ও সচিত্র-ফেস্টুন । জিন্সপরা, শাড়ীপরা তসলিমা। আমত্মর্জাতিক সেলিব্রেটিমুক্তচিমত্মা, বাক-স্বাধীনতা ও নারী স্বাধীনতার মূর্ত প্রতীক

ইসলাম ধর্মে উগ্রঅবিশ্বাসী। এটা ছিল তসলিমার সবচেয়ে ছোট পরিচয়। ইসলাম-বিদ্বেষ ও বিষোদগার তার সাধারণ পরিচয়। বাংলাদেশে ইসলাম-বিদ্বেষী উগ্র নাসিত্মক্যবাদের সে প্রথম বীজ। নারী আর ইসলামকে দু পÿÿ দাঁড় করিয়ে ইসলাম উৎখাতের সে ছিল জোরালো আহবানকারী। ছিল হিন্দু জঙ্গি শক্তির পÿÿ সোচ্চার। উপমহাদেশীয় হিন্দুজঙ্গি ও পশ্চিমা ক্রুসেডারদের ক্রীড়নক। বই, কলাম, সাÿাৎকার ও অভিব্যক্তিতে তার এসব পরিচিতি সর্বজনবিদিত। প্রশ্ন হচ্ছে, ২০ বছর পর সেই তসলিমার পÿÿ ফ্যাকাসে মুখে দাঁড়ানো বাচ্চা ছেলেমেয়েদের পেছনে কে কে ক্রুঢ় হাসি মুখে ঝুলিয়ে বসে আছে? সেই নেপথ্যের পক্ককেশীরা এবার তবে কী চায়? সেই শাহবাগে আবার কোন খুনের গন্ধ? বাচ্চাদের নামিয়ে তারা কি রক্ত খেলার মাঠ প্রস্ত্তত করতে চায়?

ফাঁসি-লাকিদের পেছনেও নাকি শেয়ানা পক্ককেশী ছিল। হাসনাত আবদুল হাইয়ের গল্পে জানা যায়। ভুঁইফোড় ইমরানদের জন্যও নাকি ছিল দেশি-বিদেশি নানা পৃষ্ঠপোষক। লোকে বলে তসলিমা পÿÿর পেছনেও রয়েছে বয়স্ক কারিগর। কারণ, তসলিমার সাবেক শয্যাবন্ধুদের হাতেই এখন মিডিয়াপাড়ার হাল। কেউ সম্পাদক, কেউ সদ্য পদত্যাগী সম্পাদক আর কেউ সম্পদলোভী পত্রিকা খুয়ানো সাবেক-সম্পাদক। আরেকজন কেশহীন বর্ষীয়ান লম্পট প্রতিভার কথা তো তসলিমার -তেই রয়েছে সবিসত্মার। বাংলাদেশে ভারতীয় পদ্মশ্রী-২ পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনাটা নাকি তারই। তো তসলিমার এতসব অশরীরী বন্ধুরা কি শাহবাগের এই তারম্নণ্যের পেছনে কোনো কলকাঠিই নাড়ছেন না? হতে পারে তসলিমার বয়স এখন ষাট ছুঁই ছুঁই। হতে পারে তার জীবন ও জৌলুস এখন মরাগাঙ। কিন্তু তাদের পেছনের স্মৃতিটার তো কিছু মূল্য রয়েছে? আছে উভয় পÿÿর বন্ধুদেরই পৃষ্টপোষকের একতা এবং স্বার্থ। সুতরাং প্রভাবশালী আঞ্চলিক হিন্দু জঙ্গিবাদ আর পশ্চিমা জায়নবাদের যৌথ পিঠচাপড়ানিতে তসলিমা পÿ গড়ে উঠা বিচিত্র কী! নতুন অস্থিরতা, নতুন হুলেস্নাড়, নতুন মেরম্নকরণেই তো তাদের লাভ। আরেকটা রক্তঝরা বাষ্পের ÿÿত্র তৈরিতে তাদের অনীহা থাকবে কেন?

বিশবছর পর তসলিমা পÿ। শাহবাগে প্রকাশ্য অবস্থান। স্বঘোষিত খোদাদ্রোহীর পÿÿ মানববন্ধন ও মিডিয়া কাভারেজ। থমথমে দেশীয় রাজনীতির পÿ-বিপÿÿর স্বার্থচিমত্মার আঙ্গিকে থেকেও বিষয়টিকে ষড়যন্ত্রপূর্ণ কোনো চাল বলেই মনে হয়। সেদিক থেকে পূর্ণ সতর্কতা ও গভীর বিশেস্নষণী পর্যবেÿণই সব ইতিবাচক মহলের কাছে কাম্য। খোদাদ্রোহী চক্রের আস্ফালন বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া যায় না- এটা সত্য। তেমনই এটাও সত্য যে, অল্প চিমত্মা থেকে বার বার ঈমানদার শক্তিকে শত্রম্নপÿÿর তৈরি ফাঁদে পড়তে দিয়ে দীর্ঘকালীন স্থবিরতায় বন্দি হতেও দেয়া যায় না। সতর্ক প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সর্বাত্মক জাগরণের আসলে কোনো বিকল্প নেই।

 

 

 

 

advertisement